নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমীর তৈমুর ইলী বাংলানিউজে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে রোববার (২৯ অক্টোবর) মৌগাতী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার ডেন্ডু নাটেরকোনা গ্রামের কৃষক জয়নাল মিয়ার মেয়ে হাফসানা, স্ত্রী মঞ্জুরা ও পুত্রবধূ পান্নাকে মারধর করেন।
কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ মারধরের ঘটনায় অপমানিত হয়ে সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকালে হাফসানা বিষপান করে। পরে দুপুরে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলার বাদী কিশোরীর মা মঞ্জুরা বাংলানিউজকে জানান, ডেন্ডুর কাছে পাওনা এক লাখ টাকা চাইতে গিয়ে মেয়ে হাফসানা, পুত্রবধূ পান্নাসহ তিনি রোববার মারধরের শিকার হন। পরে হাফসানা বিষয়টি সইতে না পেরে বিষপান করে। মারধরের পর হাফসানা বলেছিল ‘পাওনা টাকা চাইলে বারবার মারধরের শিকার হতে হয়। এসবের বিচার নেই, অতএব আমাদের বেঁচে থাকারও প্রয়োজন নেই। লজ্জায় মুখ দেখাবো না বিষপান করবো আমি। ’
হাফসানার বাবা জয়নাল বলেন, নির্বাচনের আগে ডেন্ডু তাদের কাছ থেকে সুদে এক লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কোনো টাকাই দিচ্ছিলেন না তিনি। বরং টাকা চাইতে গেলে বাড়ির মহিলাদের ওপর আক্রমণ করতেন। এভাবে বিভিন্ন সময় ডেন্ডু হাফসানার পরিবারের সবাইকে মারধর করে মাথা পর্যন্ত ফাটিয়ে দিয়েছেন। এলাকায় প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় ডেন্ডুর বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে চান না।
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফখরুল হাসান টিপু বাংলানিউজে জানান, হাফসানাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। পরে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমীর তৈমুর ইলী জানান, অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ডেন্ডুকে গ্রেফতার অভিযানে নেমেছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার পরপরই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে ডেন্ডু। বারবার তার বাড়িতে গিয়েও কোনো সন্ধান মেলেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ৩১ অক্টোবর, ২০১৭
আরএ