এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘কনটিনিউয়িং টু এনহ্যান্স দ্য হাই স্ট্যান্ডার্ডস অব পারফরম্যান্স অব পার্লামেন্টারিয়ানস’।
সিপিএ’র মূল অনুষ্ঠানের লক্ষে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।
পদাধিকারবলে সিপিএ’র চিফ প্যাট্রন যুক্তরাজ্যের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। রানি এলিজাবেথ সম্মেলন উপলক্ষে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাবেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল সম্মেলনের শুভ সূচনা করবেন। বুধবার সিপিএ সম্মেলন শুরু হলেও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে ৫ নভেম্বর। এরআগে বিভিন্ন সেশন অনুষ্ঠিত হবে।
চলতি বছর এপ্রিলে অনুষ্ঠিত ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সম্মেলন আয়োজনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সিপিএ সম্মেলনকে আরও জাঁকজমকপূর্ণ করতে নেওয়া হয়েছে যাবতীয় প্রস্তুতি। এজন্য অনুষ্ঠানের আয়োজক সংস্থা জাতীয় সংসদ ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে।
সম্মেলনে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল অংশ নেবে। বাংলাদেশ ছাড়াও এ সম্মেলনে ৯টি রিজিয়নের ৫২টি দেশের ১৮০টি জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, সংসদ সদস্যসহ ছয় শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেবেন।
আইপিইউ সম্মেলনের মতো সিপিএ সম্মেলনেও বাংলাদেশি পণ্যের মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। দেশের রফতানিমুখী পণ্যগুলোতে বিদেশিদের আগ্রহী করতে এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
সিপিএ সম্মেলনের প্রস্তুতি বিষয়ে স্পিকার ও সিপিএ চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানান, লন্ডনে অনুষ্ঠিত সিপিএ’র ৬২তম সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয় এবারের সম্মেলন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে যোগ দিতে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করার ব্যবস্থা করা হয়। এরইমধ্যে পাঁচ শতাধিক প্রতিনিধি রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এর মধ্যে ৫০ জনের বেশি স্পিকার রয়েছেন।
তিনি বলেন, এ ধরণের আন্তর্জাতিক সম্মেলন করার সক্ষমতা আমরা কিছুদিন আগেই দেখিয়েছি। কাজেই পুরো সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করতে আমাদের সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, আমরা বিভিন্ন সেশনে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরবো। পাশাপাশি চলমান রোহিঙ্গা ইস্যুটিও বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
এসএম/জিপি