মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির রিমান্ড শুনানি শেষে এ আদেশ তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২৪ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আমতলী পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডে বিপ্লবের বাসার বাথরুমে ড্রাম থেকে মালা নামে এক কলেজ ছাত্রীর সাত টুকরো করা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই দিনগত রাতেই আমতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নুরুল ইসলাম বাদল বাদী হয়ে আলমগীর হোসেন পলাশ (৪৫) ও বিপ্লবসহ কয়েকজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদ উল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, ২৫ অক্টোবর পলাশ ও বিপ্লবকে আদালতে পাঠানো হলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন পলাশ। অপর আসামি মঈনুল আহসান বিপ্লব তালুকদারের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৩১ অক্টোবর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য্য করেন। এদিন শুনানি শেষে বিপ্লবকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক মো. হুমায়ুন কবির।
আমতলী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার পশ্চিম ঘুদিঘাটা গ্রামের আব্দুল মন্নান হাওলাদারের মেয়ে ফারিয়া আক্তার মালা পাশের জেলা পটুয়াখালীর কলাপাড়া মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। সাত বছর ধরে তার সঙ্গে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার বাসন্ডা গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ হাওলাদারের ছেলে পলাশের পরকীয়ার সম্পর্ক চলছিল। পলাশ মেয়েটির ফুফাতো বোনের স্বামী। তিনি বরগুনার ঘটবাড়িয়া আদর্শ কলেজের প্রভাষক। ছোটবেলায় বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ায় মালা তার মামার বাড়িতে লালিত পালিত হয়। মেয়েটি যখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়তো তখন থেকে পলাশ তার লেখাপড়ায় সহায়তা করে আসছিলেন। এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পলাশের ভাড়া বাসায় প্রায়ই তাদের মধ্যে অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক চলতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
এসআই