বছরের পর বছর একই পদে থেকে তিনি সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের হয়রানি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
তাদের অভিযোগ, আকুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ২০ হাজার টাকার নিচে জমির খারিজ হয় না।
জানা যায়, গৌরীপুর উপজেলা থেকে ২০১২ সালের ১৯ মে আকুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে এ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগ দেন দুলাল করমী নন্দ। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি ওপেন সিক্রেট হয়ে ওঠে।
সরকারি নিয়মে একই কর্মস্থলে ৩ বছরের অধিক সময় থাকার নিয়ম না থাকলেও ঊর্ধ্বতনদের ম্যানেজ করে স্বপদে বহাল রয়েছেন দুলাল করমী।
স্থানীয় আকুয়া ইউনিয়নের বাড়েরা এলাকার সিদ্দিকুর রহমান বাংলানিউজকে অভিযোগ করে বলেন, মাস কয়েক আগে নিজের জমির খারিজ ৩০ হাজার টাকায় করতে হয়েছে। আবার আমার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে দ্বিগুণ টাকা আদায় করেছেন উপ-সহকারী কর্মকর্তা।
একই রকম অভিযোগ করে শহরতলী বাদে কল্পা এলাকার মরিয়ম বেগম অভিযোগ করেন, ঘুষ ছাড়া এখানে জমির খারিজ করা যায় না।
প্রায় দু’মাস দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘুষ দিয়েই আমার জমির খারিজ করতে হয়েছে। জমির খাজনা রশিদ নিতেও তাকে দিতে হয় অতিরিক্ত টাকা। নয়তো তিনি টালবাহানা করেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে আকুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা দুলাল করমী নন্দ বাংলানিউজকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মনগড়া। যারা সুবিধা পাননি তারাই এসব অভিযোগ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
এমএএএম/এমজেএফ