মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলামের আদালতে ঠিকাদার সোহেল ফয়সাল আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। এসময় আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে শুক্রবার ( ২৭ অক্টোবর) রাতে জেলা প্রশাসনের সহকারী নাজির মমতাজ আলী বাদী হয়ে ওই ঠিকাদারকে অভিযুক্ত করে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলায় গণভবনের ভেতরের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী গাছ কাটার ঘটনায় গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান ও গণপূর্তের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজোশে ঠিকাদার সোহেল ফয়সাল টেন্ডারের বাইরে অতিরিক্ত ১০৯২ ঘনফুট কাঠ ও ১৪২ ঘনফুট গাছের ডালপালা কেটে নেন। যার সত্যতা তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে।
নাটোর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক নাসির উদ্দিন মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, গাছ চুরির মামলার একমাত্র আসামি ঠিকাদার সোহেল ফয়সাল নাটোর সদর আমলি আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। এসময় ঠিকাদারের আইনজীবী লোকমান হোসেন আদালতকে জানান, তার মক্কেল নিরাপরাধ। গাছ চুরির ঘটনার মূল অপরাধীদের এ মামলায় আসামি করা হয়নি। ঠিকাদার বিধি বিধান মেনে গাছ কেটেছেন।
তবে আদালতে সরকার পক্ষে দায়িত্বরত পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম জামিন আবেদনের বিরোধীতা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, ঠিকাদার সোহেল ফয়সাল নিলামে যে গাছ কিনেছেন তার চেয়ে তিন লক্ষাধিক টাকার অতিরিক্ত গাছ চুরি করেছেন।
আদালতের বিচারক রবিউল ইসলাম উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ঠিকাদার সোহেল ফয়সালের জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, নাটোরের উত্তরা গণভবনের মরা এবং ঝড়ে পড়া তিনটি গাছ এবং কিছু গাছের ডালপালা মাত্র ১৮ হাজার টাকায় কাটার অনুমতি পান ঠিকাদার সোহেল ফয়সাল। কিন্তু এর বাইরে ১৭টি শতবর্ষী তাজা গাছ এবং ৪৮টি গাছের ডালপালা কেটে নেন তিনি। যার আনুমানিক দাম তিন লাখ ৬৩ হাজার টাকা। তদন্তে এসব তথ্যের সত্যতা পয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
এসআই