ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুরে নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় নয় বছর আগে দলজিতপুর গ্রামের শ্যামল শীলের ছেলে গোবিন্দ শীলের সঙ্গে নড়াইল সদরের হবখালী ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামের সুকুমার সরকারের মেয়ে সুমির বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে দীপ্ত (৭) নামে একটি
শিশু সন্তান রয়েছে।
সুমির ভাই উজ্জ্বল সরকার (২৬) জানান, বিয়ের পর থেকে গোবিন্দ প্রায়ই যৌতুকের দাবি করে আসছিলো। এ কারণে সুমিকে প্রায়ই শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করত গোবিন্দ ও পরিবারের লোকজন।
উজ্জ্বল বলেন, বোনের সংসারে সুখের কথা ভেবে গোবিন্দকে বিভিন্ন সময়ে স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দিয়েছি। তবুও সুমির ওপর নির্যাতন থেমে থাকেনি। একপর্যায়ে গোবিন্দ রোববার (২৯ অক্টোবর) যৌতুকের জন্য সুমিকে আবারো চাপ
দেয়। এতে সুমি অপারগতা জানালে গোবিন্দ তাকে শারীরিক নির্যাতন করে। এসময় সুমি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার নাম করে নড়াইল শহরের নিশিনাথতলায় গোবিন্দের এক
ভগ্নিপতির ভাড়াবাসায় নিয়ে যায়। সেখানে বিনা চিকিৎসায় মঙ্গলবার রাতে সুমি মারা যায়। পরে আত্মহত্যা বলে প্রচার করার জন্য তাকে ঘরের মধ্যে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ০১ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ