ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে আটক শিক্ষক কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৭
আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে আটক শিক্ষক কারাগারে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কুড়িগ্রাম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃতি করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় শিক্ষক আনিছুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ। ৫৭ ধারায় দায়ের হওয়া মামলায় আটক আনিছুরকে আদালতের মাধ্যমে বুধবার (০১ নভেম্বর) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

আটক আনিছুর রাজীবপুর উপজেলার কোদালকাটি মন্ডলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। দৈনিক সংবাদ পত্রিকার রৌমারী প্রতিনিধি হিসেবেও কর্মরত রয়েছেন তিনি।

 

এর আগে রৌমারী থানা পুলিশ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কর্তিমারী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।  

পুলিশ জানায়, প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃতি করে রৌমারী উপজেলার ধনারচর হাটখোলাপাড়া গ্রামের আব্দুল্লাহ হকের ছেলে সুমন মিয়া (২৫) ও কর্তিমারী গ্রামের ইস্রাফিল হকের ছেলে আনিছুর রহমান ফেসবুকে পোস্ট করেন।  

পরে ছবি বিকৃতির প্রমাণসহ গত ৮ অক্টোবর রৌমারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ কামাল।  

অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলার অনুমতি চেয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে আবেদন জানানো হয়।  

পুলিশ সদর দফতরের অনুমতি পাওয়ার পর মামলা রেকর্ড করে আনিছুরকে আটক করে পুলিশ। তবে একই অভিযোগে অপর অভিযুক্ত সুমন মিয়াকে এখনও আটক করা সম্ভব হয়নি।  

তবে আটক আনিছুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলানিউজকে জানান, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয় নিয়ে এর আগে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় হুমকি দিয়ে আসছিলো স্থানীয় একটি চক্র। এরই সূত্র ধরে ৫৭ ধারার মামলায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃতি করে ফেসবুকে পোস্ট করার তথ্য প্রমাণ পাওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আনিছুরকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৭
এফইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।