মাগুরা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর মে মাস থেকে বোরো সংগ্রহ অভিযান শুরু হয় এবং শেষ তারিখ ছিল ৩১ অক্টোবর। মাগুরার তালিকাভুক্ত ১৪৭ জন মিলারের মধ্যে ৭ জন চাল দিতে চুক্তিবদ্ধ হন।
মাগুরা শহরের সাজিয়ারা এলাকার মিলার আসাদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি চাল দিতে আগ্রহী ছিলাম না। কারণ সরকারি মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ৩৪ টাকা সেখানে বাজারে চালের কেজি সর্বনিম্ন ৪৫ টাকা। আমি কেন বাইরে বিক্রি না করে ওখানে চাল দেব। ’
সদর উপজেলার মঘি এলাকার মিলার শহীদুর রহমান বলেন, ‘আমরা লাভের জন্য ব্যবসা করি লোকসানের জন্য নয়। শুনলাম চাল না দেওয়ায় আমাকে ৩ বছরের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাতে আমার কোনো দুঃখ নেই। ১৪৭ জনের ১৪০ জন যদি কালো তালিকাভুক্ত হয় তাহলে সংগ্রহ অভিযান তো ব্যর্থ হতে বাধ্য। তাই কালো তালিকাভুক্ত করা নয় যথার্থ দাম নির্ধারণ করতে পারলেই সমস্যার সমাধান হবে। ’
মাগুরা সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) শরাফত হোসেন বলেন, সরকার যদি চাল সংগ্রহ অভিযানে দাম বৃদ্ধি না করে তাহলে লক্ষ্য পূরণ হবে না। আর সরকারের মজুদের স্বল্পতার এ সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ীরা চালের মজুদ করে দাম বৃদ্ধি করবে।
মাগুরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ১৪৭ জন মিলারের মধ্যে মাত্র ৭ জন মাত্র চাল সংগ্রহ অভিযানে অংশ নিয়েছে। এ কারণেই সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। আমরা ওই ১৪০ জন মিলারকে কালো তালিকাভুক্ত করেছি। আগামী ৩ বছর তারা চাল দিতে পারবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, ০১ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ