ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ভৈরবে দুটি রেলসেতুর উদ্বোধন করলেন হাসিনা-মোদি 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৭
ভৈরবে দুটি রেলসেতুর উদ্বোধন করলেন হাসিনা-মোদি  ভৈরবে দুটি রেলসেতুর উদ্বোধন করলেন হাসিনা-মোদি 

ভৈরব থেকে: সিলেট ও চট্টগ্রামের সঙ্গে  ঢাকার রেলযোগাযোগে নির্মাণ করা দ্বিতীয় ভৈরব, দ্বিতীয় তিতাস সেতু ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

ট্রেন চলাচলের জন্য এরই  মধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে সেতু দু'টি। একই  সঙ্গে এ সময় ঢাকা-কলকাতা রুটের মৈত্রী ট্রেনের ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন ও কলকাতার রেলওয়েস্টেশনে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের কার্যক্রমেরও উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।

তবে এই সুবিধা শুক্রবার থেকে কার্যকর করা হবে।

বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু , কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম ও খুলনা-কলকাতা রেলপথে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’  উদ্বোধন করা হয়।  

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভবন থেকে নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন।  

এসময় ভৈরবে রেল সেতুর নিচে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  রেলমন্ত্রী  মুজিবুল হক ঢাকা, কলকাতা ও  দিল্লির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে  যুক্ত হয়ে উদ্বোধন কার্যক্রম চালান।  

ভারতীয় লাইন অফ ক্রেডিট (এলওসি)’র অর্থায়নে এই সেতুগুলো নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ কাজ শেষে সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছে। একটি  ডেমু ট্রেন দিয়ে ভৈরব সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

সেতুটি চালু হওয়ায় সিলেট-চট্টগ্রামসহ দেশের পূর্বাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে যাতায়াতের সময়ও অনেকাংশে কমে আসবে। যাত্রী পরিবহনেও কমবে ভোগান্তি। এমনটাই আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া অধিক লোড নিয়ে দ্রুতগতির ট্রেন সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করতে পারবে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন সেতু প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হাই।

তিনি জানান, মোট ১২টি পিলারের ওপর এক দশমিক দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং সাত মিটার প্রস্থের এ রেলসেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫৬৭ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন ও এফকনস যৌথভাবে পুরনো রেলসেতুর দক্ষিণ পাশে দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতুর নির্মাণকাজ শুরু করে। প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী ২০১৬ সালের জুন মাসে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় চলতি বছরের জুনে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৭
এসএ/এমইউএম/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।