বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ বিচারক হায়দার আলী এই রায় দেন।
ওই দুই নারী হলেন-ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চাঁদগাও গ্রামের মৃত তারাবুদ্দীনের স্ত্রী মাজেদা খাতুন ও তার সৎ ভাই ভুবন আলীর স্ত্রী তহমিনা খাতুন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, পাঁচ শতাংশ জমি নিয়ে চাঁদগাও গ্রামের মাজেদা খাতুনের সঙ্গে প্রতিবেশী মহসিন আলীর বিরোধ চলছিল। মহসিনকে মামলায় ফাঁসানোর ফন্দি আঁটেন মাজেদা। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল দুপুরে অপর প্রতিবেশী আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে নাদিরাকে বাড়িতে ডেকে এনে মাজেদা ও তহমিনা গলায় শাড়ির আঁচল পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। শিশুটির মরদেহ বাড়ির কাছে ভুট্টাক্ষেতে ফেলে দেন তারা। পরে হত্যাকারী মাজেদা প্রচার করেন, শিশুটিকে মহসিন ধর্ষণ করে হত্যা করেছেন বলে নিজ চোখে দেখেছেন তিনি। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। অসংলগ্ন কথাবার্তার কারণে ঘটনার পরদিনই প্রকৃত ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। পরে পুলিশ মাজেদাকে গ্রেফতার করার পর তিনি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তহমিনাকে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্ত শেষে পীরগঞ্জ থানার সেই সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়াহেদ আলী তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় অপর আসামি মহসিন আলীকে চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়। মামলার শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বৃহস্পতিবার এ রায় দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৭
এসআই