বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের খাতাপাড়ার পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
রাজু ওই এলাকার আফতাব উদ্দিনের ছেলে।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেশ্বর রায় বাংলানিউজকে জানান, শনিবার (০৪ নভেম্বর) কর্মস্থল গোবিন্দগঞ্জ থেকে বাসে রংপুরে যাচ্ছিলেন রাজু। এসময় ওই বাসে অজ্ঞান পার্টির একটি চক্র তাকে অজ্ঞান করে পকেট থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। পরে বাসের লোকজন আহত অবস্থায় রাজুকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওইদিন রংপুর কোতয়ালি থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ মর্গে না পাঠিয়ে গ্রামের বাড়ির পারিবারিক করবসস্থানে দাফন করা হয়।
পরে কোতয়ালি থানায় অপমৃত্যু মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে আমলে নেয় পুলিশ। যার পরিপ্রেক্ষিতে নিহত রাজুর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামানের উপস্থিতিতে মৃত্যুর ছয়দিন পর মরদেহ উত্তোলন করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- লালমনিরহাটের সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, আদিতমারী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রংপুর কোতয়ালি থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মামুন মিয়া ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৭
আরবি/