ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ক্রিসমাস ইভে শুভারম্ভ বড়দিনের!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
ক্রিসমাস ইভে শুভারম্ভ বড়দিনের! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ক্রিসমাস ইভ বা বড়দিনের প্রথম প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন বা ক্রিসমাস। মূলত বড়দিনের প্রধান উৎসব ২৫শে ডিসেম্বর পালিত হলেও ২৪ ডিসেম্বর রাত থেকেই শুরু হয়ে যায় ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত হলি রোজারিও ক্যাথলিক চার্চে গিয়ে বড় দিনের ধর্মী আচার অনুষ্ঠানের তথ্য জানা যায়।

চার্চে সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজন এসেছেন ক্রিসমাস ইভ পালন করতে।

ক্রিসমাস ইভের প্রার্থনা পালিত হয় দুই ভাগে। রাত সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়া প্রার্থনা শেষ হবে সাড়ে ১০টায়। এরপর রাত ১১টা থেকে শুরু হবে ক্রিসমাস ইভের দ্বিতীয় ভাগের প্রার্থনা। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমক্রিসমাস ইভের প্রার্থনায় বড়দিনের উৎসব যিশুখ্রিস্টকে উৎসর্গ করা হয়। পরে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রার্থনা ও দেশবাসীর কল্যাণে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

এদিকে বড়দিনের উৎসবকে কেন্দ্র করে তেজগাঁওয়ের হলি রোজারিও চার্চে সাজসজ্জাও ছিলো চোখে পরার মতো। দেশের সব থেকে বড় এ ক্যাথলিক চার্চে শিশু কিশোরসহ সব শ্রেণির মানুষের উপস্থিতি উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

সারা চার্চ জুড়ে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। চার্চের বিভিন্ন জায়গায় নানান ধর্মীয় নির্দেশনা দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে বড়দিনের তাৎপর্য। এছাড়া চার্চের প্রতিটি জায়গায় জায়গায় ছিলো বড়দিনের উৎসবের আমেজ। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমএছাড়া চার্চের বাহিরে বিভিন্ন স্টলে বিক্রেতারা বিক্রি করছেন স্টার, মোমবাতি ও প্লাস্টিকের ক্রিসমাস ট্রি। ছোট ছেলে-মেয়েরা মা-বাবার কাছে বায়না ধরে এসব কিনছেন। আবার অনেকে শান্তা ক্লজ সেজে বাচ্চাদের বিভিন্ন গিফট সামগ্রী দিচ্ছেন।

গুলশান থেকে আসা রুদ্র গোমেজ বাংলানিউজকে বলেন, আজ এবং আগামীকালকের দিনটি আমাদের জন্য সব থেকে বড় উৎসবের দিন। যিশুখ্রিস্ট এসেছিলেন পৃথিবীতে মানব কল্যাণে। তাই তাকে আমরা আজ এবং কাল শ্রদ্ধা জানাবো এবং সারাজীবন তার বর্ণিত রাস্তায় চলবো।

রাজধানীর তেজকুনিপাড়া থেকে আসা পলিনা পিটটি বাংলানিউজকে বলেন, বড়দিন শুধু ধর্মীয় উৎসবই না, উৎসবটি উপলক্ষে হাজার মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয় এ চার্চ। এছাড়া পরিবারের সবাই মিলে প্রার্থনা শেষে আগামীকাল ঘুরতে যাবো বিভিন্ন জায়গা ও আত্মীয়-স্বজনদের বাসায়।

অন্যদিকে ২৫ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে চার্চে শুরু হবে বড়দিনের প্রার্থনা যা শেষ হবে সকাল ১১টায়।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
এমএসি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।