ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিএটিবিকে দেশ ছাড়তে হবে  

শেখ জাহিদুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৮
ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিএটিবিকে দেশ ছাড়তে হবে   মানববন্ধনে উপস্থিত শ্রমিক নেতারা। ছবি: বাংলানিউজ

বগুড়া থেকে: বিগত ৫০ বছর ধরে বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য পাঁয়তারা চলছে। বর্তমানে এ শিল্প প্রায় ধ্বংসের মুখে। এ ধ্বংসের পেছনে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোকে (বিএটিবি) বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে। 

মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার সাতমাথা মোড়ে আয়োজিত মানববন্ধনে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমকে বাঙ্গালী একথা বলেন।  

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন ও শ্রমিক কর্মচারী বগুড়া অঞ্চলের উদ্যোগে এ  কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

 

এমকে বাঙ্গালী বলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ধূমপান নিষিদ্ধ করার নামে বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছেন। বিএটিবি বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। কিন্তু এ নিয়ে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিড়ি শিল্প ধ্বংসে নানা চেষ্টা চালাচ্ছে বিদেশি কোম্পানিটি। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো দেশীয় শিল্পকে ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে।  

‘সিগারেট তৈরি করতে বিদেশ থেকে তামাক, কাগজ ও মেশিন আমদানি করতে হয়। কিন্তু বিড়ি তৈরিতে বিদেশ থেকে কোনো কিছুই আমদানি করতে হয় না। সুতরাং বিড়ি শিল্প দেশীয় প্রযুক্তি নির্ভর একটি শিল্প। এ শিল্পকে ধ্বংস করা যাবে না। ’ 

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান অভিযোগ করেন, বিএটিবি ২ হাজার কোটি টাকার মতো রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। সেই টাকা দিয়ে একটি পদ্মাসেতু করা যেতো। এর সঙ্গে কতিপয় কর্মকর্তাও জড়িত।  

তিনি বলেন, প্রতিহাজার বিড়িতে ২৫২ টাকা ৮০ পয়সা ট্যাক্স নির্ধারণ করেছে সরকার। এটা কখনও হতে পারে না। এ সিদ্ধান্ত বদলাতে হবে।  

অন্যথায় দেশের বিড়ি শ্রমিকদের নিয়ে সচিবালয়ের সামনে লাগাতার অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন এই শ্রমিক নেতা।  

মানববন্ধনে ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হেরিক হোসেন, শামীম ইসলাম, সংগঠনের বগুড়া জেলার সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
এসজে/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।