ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দলমত পার্থক্য ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৮
দলমত পার্থক্য ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

সংসদ ভবন থেকে: দল-মত-পথের পার্থক্য ভুলে জাতির গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রোববার (০৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে মাগরিবের বিরতির পর সন্ধ্যা ৬টা তিন মিনিটে অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি প্রবেশ করার আগে বিউগল বাজানো হয়।

এরপর অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত বেজে ওঠে। এ সময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রী, এমপিরা দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতিকে সম্মান প্রদর্শন করেন।

স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতা সমুন্নত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুজ্জল রাখতে দেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণরূপে নির্মূলের মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে বাঙালি জাতিকে আবারো ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। একাত্তরের শহীদানদের কাছে আমাদের অপরিশোধ্য ঋণ রয়েছে। আসুন ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে এবং দল-মত-পথের পার্থক্য ভুলে জাতির গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা ও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার মধ্যে দিয়ে আমরা লাখো শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করি।

দশম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ১৫৭ পৃষ্ঠার ভাষণের বিশেষ অংশ পাঠ করেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সাদা শার্ট লাল টাই এর উপর হাল্কা কালো স্যুট পড়ে সন্ধ্যা ৬টা ০৫ মিনিটে ভাষণ শুরু করেন। এরআগে বিকেল ৩ টায় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ‘কার্য উপদেষ্টা কমিটি’র উনিশতম বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবে ৪৫ ঘণ্টার আলোচনা হবে। তবে প্রয়োজনে এ সময়সীমা স্পিকার বাড়াতে বা কমাতে পারবেন।

কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে কমিটির সদস্য, সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেন। বৈঠকে কার্যপত্র উপস্থাপন করেন সংসদের সিনিয়র সচিব ড. আবদুর রব হাওলাদার।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোববার শুরু হওয়া ১৯তম অধিবেশন আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এরমধ্যে প্রতি শুক্রবার, শনিবার, সরকারি ছুটি এবং ৮ জানুয়ারি, ২০ ও ২২ ফেব্রুয়ারি অধিবেশন বন্ধ থাকবে। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় অধিবেশন শুরু হবে। তবে ১০ জানুয়ারি অধিবেশন শুরু হবে মাগরিবের পর।

এ অধিবেশনে ৫টি সরকারি বিলের নোটিশ পাওয়া গেছে এবং গত অধিবেশনে অনিষ্পন্ন ১৫টি সহ মোট ২০টি সরকারি বিল রয়েছে। যার মধ্যে ৫টি পাসের অপেক্ষায়, ১০টি কমিটিতে পরীক্ষাধীন এবং উত্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে ৫টি বিল। এ অধিবেশনে উত্থাপনের জন্য কোন বেসরকারি বিলের নোটিশ পাওয়া যায়নি। তবে পূর্বে প্রাপ্ত ও অনিষ্পন্ন ৯টি বেসরকারি বিল রয়েছে।

কমিটির সদস্য বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এবং আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

মানুষের সম্মান পাওয়া রাজনীতিকের বড় অর্জন
প্রয়াত মন্ত্রী, মেয়র ও এমপিদের নামে শোক প্রস্তাব

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৮
এসকে/এসএম/এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।