ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পুলিশ সপ্তাহ শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৮
পুলিশ সপ্তাহ শুরু

ঢাকা: ‘জঙ্গি ও মাদকের প্রতিকার, বাংলাদেশ পুলিশের অঙ্গীকার’ মূল প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে শুরু হচ্ছে পুলিশ সপ্তাহ-২০১৮।

সোমবার (০৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে পাঁচ দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে তিনি প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করবেন।

সহস্রাধিক পুলিশ সদস্যের অংশগ্রহণে প্যারেডে অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন।

পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে ২০১৭ সালে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৩০ পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ৭১ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৮ পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ৫৩ জনকে‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ দেওয়া হবে।

এর মধ্যে সিলেটের আতিয়া মহলে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে শহীদ লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, ইন্সপেক্টর মরহুম চৌধুরী মো. আবু কায়ছার এবং ইন্সপেক্টর মরহুম মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামকে বিপিএম-মরণোত্তর পদক দেওয়া হবে।

এদিন প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়াম উদ্বোধন, পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) স্টল পরিদর্শন এবং পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কল্যাণ প্যারেডে অংশগ্রহণ করবেন।

পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জননিরাপত্তা বিধানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। ‘শৃঙ্খলা নিরাপত্তা প্রগতি’মন্ত্রে দীক্ষিত বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেক সদস্য দেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অনবদ্য ভূমিকা রাখছে। সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ পুলিশের অনন্য ভূমিকা দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। মাদকের বিস্তার রোধ ও সাইবার ক্রাইমের মতো অপরাধ দমনেও পুলিশ যথেষ্ট সফলতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত রেখে প্রিয় মাতৃভূমিকে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে পুলিশ সদস্যরা তাদের পেশাদারিত্বের প্রমাণ দিয়ে যাবেন। ’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে অপরিসীম ত্যাগ ও বীরত্বগাঁথার ইতিহাসকে ধারণ করে সগৌরবে এগিয়ে চলেছে পুলিশ বাহিনী। দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে এ বাহিনী উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে পুলিশের সাফল্য দেশে-বিদেশে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ পুলিশকে একটি দক্ষ, জনবান্ধব ও প্রতিশ্রুতিশীল বাহিনীতে উন্নীত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পুলিশের জনবল বৃদ্ধি, প্রযুক্তির সংযোজন, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, বিশেষায়িত নতুন নতুন ইউনিট গঠনসহ বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে আমরা ‘পুলিশ এন্টি টেররিজম ইউনিট’ গঠন করেছি। বিভিন্ন ইউনিটে প্রতিনিয়ত নারীর অন্তর্ভুক্তি বাড়ানো হচ্ছে। ’

পুলিশ সপ্তাহের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মেলন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের সম্মেলন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতির ভাষণ, পুরস্কার বিতরণ, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের পুনর্মিলনী, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইজিপি’র সম্মেলন এবং বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা ইত্যাদি।

আগামী ১২ জানুয়ারি শুক্রবার আইন-শৃঙ্খলা ও অপরাধ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে পুলিশ সপ্তাহের নানা আয়োজনের।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৮
পিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।