ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শীত তাড়ানোর ভরসা এখন আগুন

মাহিদুল ইসলাম রিপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৮
শীত তাড়ানোর ভরসা এখন আগুন খড়ের জ্বালানো আগুন পোহাচ্ছে গ্রামের মানুষ। ছবি: বাংলানিউজ

দিনাজপুর: গত এক সপ্তাহ ধরে চলমান শৈত্যপ্রবাহে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। কনকনে ঠাণ্ডায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে পাশাপাশি পশু-পাখীসহ প্রাণিকূল কাবু হয়ে পড়েছে। গ্রামের অসহায় দরিদ্র ও খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষেরা আগুন জ্বালিয়ে শীত তাড়ানোর চেষ্ঠা করছে।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

 

শৈত্যপ্রবাহের কারণে জেলা শহরের হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ বয়সীর সংখ্যাই বেশি। শ্বাস কষ্ট, নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে তারা।
 
এদিকে ঘনকুয়াশার কারণে রাত ও দিনে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘনকুয়াশা অব্যাহত থাকছে। এতে দিনের বেলায়ও যানবাহন গুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

হাড় কাঁপানো শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ বেড়েছে অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষদের। বিশেষ করে দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষ গুলো বেশি বিপাকে পড়েছেন। ঠাণ্ডার কারণে কাজ করতে না পারায় পরিবার-পরিজন নিয়ে খাদ্য সংকটে রয়েছেন এসব মানুষ।  

জেলা শহরের বড় মাঠ এলাকার মার্কেটে শীতের গরম কাপড় কিনতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। শিশুসহ সব বয়সীরা কিনছেন শীতের গরম কাপড়। খড়ের জ্বালানো আগুন পোহাচ্ছে গ্রামের মানুষ।  ছবি: বাংলানিউজ

দিনাজপুর সদর উপজেলার কমলপুর ইউনিয়নের নুনসাহার গ্রামের হতদরিদ্র মোমেনা বেওয়া বাংলানিউজকে বলেন, কয়েক দিন ধরে এখানে খুব ঠাণ্ডা পড়ছে। এতে খাবার জোগার করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনো মতে অর্ধহারে দিনাতিপাত করছি। এ ঠাণ্ডায় আমাদের মতো মানুষদের বাঁচার একটাই উপায় খড়ের জ্বালানো আগুন।  

দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদফতর ও পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সোমবার (৮ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বাতাসের আদ্রতা ছিল শত ভাগ আর গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১১ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।  

এর আগে, রোববার (৭ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে।  

শনিবার (৬ জানুয়ারি) ছিল ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি এবং শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  

এছাড়া গত এক সপ্তাহ ধরে দিনাজপুরে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল বলেও জানান তোফাজ্জুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৮
আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।