ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রাজশাহীতে নির্মিত হবে ‘বঙ্গবন্ধু স্কয়ার’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
রাজশাহীতে নির্মিত হবে ‘বঙ্গবন্ধু স্কয়ার’ তালাইমারী মোড় (ফাইল ছবি)

রাজশাহী: রাজশাহীর সবুজ মতিহারের তালাইমারী মোড়ে নির্মাণ করা হবে ‘বঙ্গবন্ধু স্কয়ার’। এর মধ্যদিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ করা হবে। পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন, দর্শন ও সুদূর প্রসারি ভাবনা সম্পর্কে ধারণা মিলবে।

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার চেতনা সমুন্নত রাখতে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

শিগগিরই এর নির্মাণ কাজ শুরু করবে আরডিএ।

আরডিএ’র চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ বজলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সম্প্রতি ‘বঙ্গবন্ধু স্কয়ার’ নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পেয়েছে। নির্মাণ কাজ শুরু করতে দ্রুতই দরপত্র আহ্বান করা হবে।

তিনি বলেন, এক দশমিক ৪২ একর জমির ওপর বঙ্গবন্ধু স্কয়ারটির বেজমেন্টের মধ্যে গাড়ি পার্কিং, আর্ট গ্যালারি এবং জলধারা বেষ্টিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরি করা হবে। এছাড়া ৬ হাজার ৩৩২ দশমিক ৭১ বর্গমিটার বিশিষ্ট গ্রাউন্ড ফ্লোর হবে।
তালাইমারী মোড় (ফাইল ছবি)
যেখানে আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম, লাইটিং এবং ডিজিটাল স্ক্রিন যুক্ত স্থায়ী আর্ট গ্যালারি এবং মিউজিয়াম থাকবে। এক হাজার ৫৭৬ দশমিক ৮৬ বর্গমিটার বিশিষ্ট ফার্স্ট ফ্লোরের মধ্যে আধুনিক রেস্তোরাঁ, দৃষ্টিনন্দন ল্যান্ডস্কেপ, উম্মুক্ত স্থানে বসা এবং সুস্থধারার বিনোদনের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা থাকবে।  

এছাড়া, অত্যাধুনিক তিনটি লিফট, জেনারেটর, সোলার প্যানেল এবং ইলেকট্রিসিটি সরবরাহের জন্য সাব-স্টেশন স্থাপন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২৫১ মিটার রাস্তারও উন্নয়ন করা হবে। তাছাড়া স্কয়ারের ইন্টিরিয়র ও ল্যান্ডস্কেপিং কাজ হবে।

৫২৯ দশমিক ৭৪ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে থাকবে ম্যুরাল। প্রকল্পের টাকায় ৫০০ বর্গমিটার এলাকায় থাকা ঘর-বাড়ির স্বত্ত্বাধিকারীদের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে। নির্মাণ করা হবে ৯৫৫ মিটার আরসিসি ড্রেন। আগামী বছরের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়নে কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরডিএ চেয়ারম্যান বজলুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্কয়ার’ কেবল রাজশাহী মহানগরীর সৌন্দর্য বর্ধনই করবে না। বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরবে। এর মধ্যদিয়ে আজ ও আগামী প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসকে সমুন্নত রাখা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
এসএস/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।