দোকানিরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতাদের চাহিদামত ফুলের ডালা সাজাতে। বেশিরভাগ দোকানেই নানা রকম ফুল দিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের পু্ষ্পস্তবক তৈরি করে রাখা হয়েছে।
তবে রেডিমেট ডিজাইন যাদের পছন্দ নয় তারা নিজের চাহিদামত পুষ্পস্তবক সাজিয়ে নিচ্ছেন। এক্ষেত্রে বিক্রেতাদের হাতের স্মার্টফোন এবং ট্যাবে বিভিন্ন ডিজাইনের ছবি দেখে ডিজাইন পছন্দের সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। তবে এভাবে পছন্দ করা ডালি সাজাতে খরচ একটু বেশি হবে বলে জানান শাপলা পুষ্প কেন্দ্রের বিক্রয় কর্মী রাশেদ।
রাশেদ বলেন, রেডিমেট ডালির দাম ৫শ’ থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত। তবে ডিজাইন পছন্দ করে নিলে ১০ হাজার টাকা দাম হতে পারে।
এদিকে শাহবাগের এই ফুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এবার অনেকটা চড়া দামে ফুল বিক্রি হচ্ছে। গত বছর যে ফুলের ডালি ৮শ' থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে এবছর তার দাম ২ হাজার টাকা। তবে দাম বেশি হলেও সেদিকে ততটা খেয়াল নেই ক্রেতাদের।
ভাষার জন্য যারা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। এতে টাকা একটু বেশি গেলেও প্রতিটা ফুলই তাজা চান বারডেম জেনারেল হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ পূরবী রানী দেবনাথ।
পূরবী রানী বাংলানিউজকে বলেন, আমি একটা খসড়া ডিজাইন নিয়ে এসেছি। সেটা দেখে ওনারা ডালি তৈরি করে দিচ্ছেন। এজন্য দাম একটু বেশি নিচ্ছে। কিন্তু দাম বেশি নিলেও প্রতিটা ফুলই আমি তাজা নেবো।
একইভাবে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সালাম এবং মোহাইমিনুলও জানান, একটা ফুলও শুষ্ক হলে ডালি নেবেন না তারা।
সালাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আগেই বলে দিয়েছি প্রতিটা ফুলই তাজা দিতে হবে। ১ হাজার টাকার ডালি ২ হাজার টাকা দিচ্ছি ফুল ভালো না দিলে কেন নেবো?
তবে চলতি মৌসুমে অজানা এক ভাইরাসের কারণে বেশিরভাগ ফুলবাগান নষ্ট হয়ে গেছে। একইভাবে বিগত ৩২ বছরের মধ্যে এবারই ফুলের চাহিদা বেশি হওয়ায় দাম একটু বেশি বলে দাবি করেন শাহবাগ ক্ষুদ্র ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
এসআইজে/আরআর