হাতিরঝিলে ঘুরতে এসে অভিব্যক্তিগুলো প্রকাশ করছিলেন বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত শফিকুল ইসলাম।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) হাতিরঝিল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ছুটির দিন উপভোগ করতে মানুষের ঢল।
ঘুরতে এসে বাদাম, ফুচকাসহ ফাস্টফুড আইটেম খাওয়া ছাড়াও সেলফি তোলা যেন একটি বিশেষ অংশ। হাতিরঝিলে দেখা যায় তরুণ-তরুণী মোবাইল ফোন উঁচু করে সেলফি তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
পল্টন থেকে আগত সুমি ও সাজিদ বাংলানিউজকে জানান, ঘুরতে এসে ফেসবুকে চেকইন দেওয়া সেলফি আপলোড করা আমাদের রীতিনীতির মধ্যে চলে এসেছে। তাই সেলফি তুলছি, ফেসবুকে আপলোড দেবো বলে। তাছাড়া স্মৃতি সংরক্ষণের একটি বড় বিষয় এখানে থেকে যায়।
ঘুরতে আসা মানুষদের যে শুধু আনন্দের বহিঃপ্রকাশ রয়েছে তা নয়। রয়েছে কিছুটা পরিমাণ বিড়ম্বনা। অর্থ উপার্জনের জন্য হিজড়াদের রমরমা চাঁদা আদায়ে চলছে এখানে। মানুষ বুঝে চাপ সৃষ্টি করে চাঁদা দাবি করে বসে থাকে তারা। যেন সেখান থেকে তাদেরকে খালি হাতে ফিরতে হবে না। এমন অভিযোগ করছিলেন মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, কারণ জানি না, তবে আমি হিজড়াদের অনেক ভয় লাগে। আর তারা দেখে এটি বুঝতে পারে। আবার কাছ থেকে ১০০ টাকা আদায় করেছে। আবার না দিলে অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। তাই দিতে বাধ্য হয়েছি।
এছাড়া অনেকেই হাতিরঝিলের লেকের পানির দুর্গন্ধ নিয়েও অভিযোগ করেছেন। বাংলানিউজকে দর্শনার্থীরা জানান, পানির দুর্গন্ধটা অনেক বিরক্তিকর। এটার জন্য লেকের কাছাকাছি গিয়ে বসা যায় না। কিংবা ওয়াটার বাসে ঘুরতে ভালো লাগে না। সরকারের এ বিষয়টি নজরদারিতে আনা উচিত। বিষয়টি যথেষ্ট পরিমাণ ও অস্বাস্থ্যকর।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১ , ২০১৮
পিএম/এএটি