ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ছুটির দিনে হাতিরঝিলে বিনোদনপ্রেমীদের ভিড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮
ছুটির দিনে হাতিরঝিলে বিনোদনপ্রেমীদের ভিড় হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ছুটির দিন মানেই ঘোরাঘুরি, প্রাণ খুলে আড্ডাবাজি, খাওয়া-দাওয়া সর্বোপরি মন-প্রাণ খুলে আনন্দ করা। যদিও ২১শে ফেব্রুয়ারি শোক দিবস, তবুও সকালে শহীদ মিনারের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মন যেন চায় একটু ঘুরে বেড়াতে। তাই হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা।

হাতিরঝিলে ঘুরতে এসে অভিব্যক্তিগুলো প্রকাশ করছিলেন বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত শফিকুল ইসলাম।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) হাতিরঝিল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ছুটির দিন উপভোগ করতে মানুষের ঢল।

স্বপরিবার ছাড়াও প্রিয় মানুষদের সঙ্গ উপভোগ করতে ব্যস্ত নগরবাসী। ব্যস্ত রাজধানীর ছুটির দিনে রাস্তাঘাট যানজটহীনভাবে থাকলেও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে থাকে ঠিক তার উল্টো পরিস্থিতি। হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা।  ছবি: শাকিল আহমেদউত্তরা থেকে আগত সুপ্রিয় দাসের কাছে জানতে চাইলে বলেন, অফিস থেকে ছুটি চেয়েছিলাম। অনেকেই ছুটি নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন। আমিও চেয়েছিলাম কিন্তু পায়নি। আর ঢাকা শহরে বেড়ানোর জন্য হাতিরঝিলের চেয়ে ভালো জায়গা আমার চোখে পড়ে না। আজকে রাস্তাঘাট ফাঁকা  পেয়ে ঘুরতে ভাল লাগছে। এদিকে গিন্নির তো রয়েছেই তাই তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি।

ঘুরতে এসে বাদাম, ফুচকাসহ ফাস্টফুড আইটেম খাওয়া ছাড়াও সেলফি তোলা যেন একটি বিশেষ অংশ। হাতিরঝিলে দেখা যায় তরুণ-তরুণী মোবাইল ফোন উঁচু করে সেলফি তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

পল্টন থেকে আগত সুমি ও সাজিদ বাংলানিউজকে  জানান, ঘুরতে এসে ফেসবুকে চেকইন দেওয়া সেলফি আপলোড করা আমাদের রীতিনীতির মধ্যে চলে এসেছে। তাই সেলফি তুলছি, ফেসবুকে আপলোড দেবো বলে। তাছাড়া স্মৃতি সংরক্ষণের একটি বড় বিষয় এখানে থেকে যায়।

ঘুরতে আসা মানুষদের যে শুধু আনন্দের বহিঃপ্রকাশ রয়েছে তা নয়। রয়েছে কিছুটা পরিমাণ বিড়ম্বনা। অর্থ উপার্জনের জন্য হিজড়াদের রমরমা চাঁদা আদায়ে চলছে এখানে। মানুষ বুঝে চাপ সৃষ্টি করে চাঁদা দাবি করে বসে থাকে তারা। যেন  সেখান থেকে তাদেরকে খালি হাতে ফিরতে হবে না। এমন অভিযোগ করছিলেন মাহবুবুল আলম। সেলফি তুলছেন দর্শনার্থীরা।  ছবি: শাকিল আহমেদতিনি বলেন, কারণ জানি না, তবে আমি হিজড়াদের অনেক ভয় লাগে। আর তারা দেখে এটি বুঝতে পারে। আবার কাছ থেকে ১০০ টাকা আদায় করেছে। আবার না দিলে অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। তাই দিতে বাধ্য হয়েছি।

এছাড়া অনেকেই হাতিরঝিলের লেকের পানির দুর্গন্ধ নিয়েও অভিযোগ করেছেন। বাংলানিউজকে দর্শনার্থীরা জানান, পানির দুর্গন্ধটা অনেক বিরক্তিকর। এটার জন্য লেকের কাছাকাছি গিয়ে বসা যায় না। কিংবা ওয়াটার বাসে ঘুরতে ভালো লাগে না। সরকারের এ বিষয়টি নজরদারিতে আনা উচিত। বিষয়টি যথেষ্ট পরিমাণ ও অস্বাস্থ্যকর।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১ , ২০১৮
পিএম/এএটি

বোটানিক্যাল-চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।