শনিবার (১০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন বরিশাল সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ বেল্লাল হোসেন।
তিনি বলেন, মরদেহের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর চরমোনাই লঞ্চঘাট এলাকায় মুসল্লিবাহী ট্রলারডুবির দুইদিন পর শুক্রবার (০৯ মার্চ) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশ।
মরদেহগুলো হলো- চরমোনাইয়ের বার্ষিক মাহফিলে আগত মুসল্লি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পাচনখোলা এলাকার মৃত খায়েরুদ্দিন ঢালীর ছেলে বাদশা ঢালী (৬৫), গাজীপুর সদরের আবদুল মালেকের ছেলে ইফতেখার (৯), আমানউল্লাহ দেওয়ানের ছেলে শাহ আলী (২৮), একই জেলার ভবানীপুরের জাকির হোসেন দিলদার (৩০), ময়মনসিংহের মকবুল হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮) ও লক্ষ্মীপুরের হেদায়েত হোসেন ছেলে আবদুল কুদ্দুস (২৪)।
গত বুধবার (০৭ মার্চ) দুপুরে ট্রলারটি বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়ার প্রান্ত থেকে কীতর্নখোলা পাড়ি দিয়ে চরমোনাই লঞ্চঘাট যায়। ঘাটে থাকা কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের পেছনে নোঙর করে চরমোনাই মাহফিলগামী মুসল্লিদের নামাতে গেলে ট্রলারটি কাত হয়ে যায়। এসময় পেছন থেকে অন্য একটি ট্রলার ধাক্কা দিলে সেটি ডুবে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা নদীতে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নদীর তলদেশে ট্রলারটির সন্ধান পাওয়া গেলেও নিখোঁজদের কোনো হদিস মেলেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৮
এমএস/জেডএস