শনিবার (১০ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে মান্নার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মান্না দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রৌমারী উপজেলার ধর্মপুর সীমান্তের ১০৫৭ আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের কাছ দিয়ে বাংলাদেশি ১০-১২ গরু ব্যবসায়ী ভোরে নো ম্যান্স ল্যান্ডে ঢুকে গরু পারাপার করছিল। এ সময় ভারতের ৫৭ ব্যাটালিয়নের গুটলীগ্রাম ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে।
দৌড়ে পালানোর সময় মাথায় আরকির বাঁশ পড়ে মান্নান ঘটনাস্থলেই মারা যান। সঙ্গীরা তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে ধর্মপুর গ্রামের বাড়ি নিয়ে যান।
তবে নিহতের স্ত্রী রেজিয়া খাতুন বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার রাতে একই গ্রামের গরু ব্যবসায়ী মকুল, সেফাত ও দুলাল তার স্বামীকে ডেকে নিয়ে যান। পরে ভোরে মৃত অবস্থায় তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তারা।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য শাহজাহান আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমার বাড়ির পাশেই গরু ব্যবসায়ীরা আরকির মাধ্যমে কাঁটাতার পেরিয়ে ৫/৬টি গরু পার করেছেন। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধাওয়া করলে আরকির বাঁশ মাথায় পড়ে মান্নার মৃত্যু হয়।
জামালপুর ৩৫, বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, এটি কোনো সীমান্ত হত্যা নয়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তার মাথায় ধারালো অস্ত্রেরও আঘাত রয়েছে।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মোন্তাসির বিল্লাহ বলেন, পুলিশের একটি দল সীমান্ত এলাকার নিজ বাড়ি থেকে দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নিহতের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৮
এফইএস/ওএইচ/