সাভারের ডগরমোড়া এলাকায় নিজেদের ভাড়া বাড়ি থেকে শনিবার (১০ মার্চ) দুপুরে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আশুলিয়ার কবিরপুর বাইদগাঁও এলাকার সুরুজ মিয়ার মেয়ে স্বর্ণালীর সাত বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
স্বর্ণালী আক্তারের ভাই নজরুল ইসলাম বাংলানিউজের কাছে দাবি করেন, কয়েকদিন ধরে তার বোনের কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক চাইছিলেন আকবর আলী। কিন্তু স্বর্ণালী যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় দুপুরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন তার স্বামী।
প্রতিবেশীরা খবর পেয়ে স্বর্ণালীকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলেও চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ স্বর্ণালীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
স্বজনরা জানান, সাত বছর আগে স্বর্ণালীর সঙ্গে আকবরের বিয়ে হয়। তারপর থেকে তারা ডগরমোড়া এলাকায় ওই বাড়িতে ভাড়া থাকছিলেন।
স্বজনদের অভিযোগ, যৌতুকের দাবিতে স্বর্ণালীকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন আকবর। তাছাড়া তিনি দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত। সেজন্য একাধিকবার আকবরকে মাদক মামলায় কারাগারেও যেতে হয়।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কাসেম বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বর্ণালীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি ময়না-তদন্তের পর স্পষ্ট হবে। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৮
এইচএ/