শনিবার (১০ মার্চ) বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার (৯ মার্চ) সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানান যায়, দীর্ঘদিন ধরে নওদাপাড়া গ্রামের ‘নওদাপাড়া হামিদিয়া নূরানী হাফেজিয়া মহিলা মাদ্রাসা’র নতুন ও পুরাতন কমিটির মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার ওই মাদ্রাসায় ইসলামী জালসা অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নতুন কমিটি। এসময় পুরাতন কমিটির কিছু লোকজন এর বিরোধিতা করে সেখানকার ডেকোরেশনের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। এসময় নতুন কমিটি পক্ষের লোকজন বাধা দিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে শাহিন গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়।
আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন বাংলানিউজকে জানান, শাহিন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের একজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৮
আরবি/