ফাহাদের বয়স যখন দুই মাস তখন থেকেই এ রোগ দেখা দেয় তার শরীরে। দিনের বেশিরভাগ সময় ব্যথায় চিৎকার করে সে।
শিশু ফাহাদ টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার আইসড়া গ্রামের শাহীন মিয়া ও মেরিনা খাতুন দম্পতির একমাত্র সন্তান। বর্তমানে টাঙ্গাইল শহরের কোদালিয়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন তারা।
ফাহাদের বাবা শাহীন মিয়া জানান, ফাহাদের বয়স যখন দুই মাস, তখন থেকেই তার শরীরে দেখা যায় এ রোগের উপসর্গ। দীর্ঘদিন চিকিৎসা করিয়েও কোনো উন্নতি হয়নি। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞ ডা. সাদ্দাত হোসেনের কাছে ৪/৫ মাস, তারপর চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞ ডা. নুরুল ইসলামের কাছে ৫/৬ মাস চিকিৎসা করানো হয়। তারপরও কোনো উন্নতি না হওয়ায় ফাহাদকে টাঙ্গাইলের মধুপুর জলছত্র নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা শিশুটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্ম ও যৌন বিভাগের চিকিৎসক ডা. জামাল উদ্দিনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অনেকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানানো হয়, মাংসের ৩ সেন্টিমিটার নিচ থেকে এ গোটাগুলো জন্ম নিচ্ছে। কিন্তু তারা এ রোগের কোনো নাম বলতে পারেননি।
ফাহাদের বাবা শাহীন মিয়া একজন অটোরিকশা চালক। একমাত্র ছেলের চিকিৎসার জন্য উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ৫ শতাংশ জমিও বিক্রি করেছেন তিনি। তাতেও কোনো লাভ হয়নি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের চর্ম ও যৌন বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ও শিশু ফাহাদের চিকিৎসক ডা. খন্দকার সাদ্দাত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এটি ক্রনিক ননস্পেসিফিক ডার্মাটাইটিস টাইপের রোগ। দীর্ঘদিন ধরে এ রোগের চিকিৎসা করতে হয়। তবে উন্নততর পদ্ধতিতে বায়োপসি করালে হয়তো রোগটি চিহ্নিত হতে পারে। যা উন্নত দেশগুলোতে সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৮
আরএ