ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পাংশায় স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
পাংশায় স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের মেঘনা খামারপাড়া গ্রাম থেকে মো. দেলবর (৫৫) ও তার স্ত্রী ঝর্ণা বেগমের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (১১ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে শোবার ঘর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

দেলবরের প্রতিবেশী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দেলবর ও ঝর্ণা বেগমের পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

ছেলেরা কেউ বাড়িতে থাকেন না। ১১ বছর বয়সী মেয়ে থাকে পাশের বাড়িতে। ঝর্ণা ওমান প্রবাসী ছিলেন। তিনমাস আগে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। এর কয়েকদিন পর তিনি বরিশালে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রান্নার কাজ নেন। ঝর্ণার এ কাজে রাজী ছিলেন না দেলবর। দেলবরের সন্দেহ ছিল ওই ব্যক্তির সঙ্গে ঝর্ণার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। কয়েকদিন আগে ঝর্ণা বাড়িতে এলে দেলবর তাকে বরিশালে যেতে নিষেধ করেন। কিন্তু ঝর্ণা তার কথা না শুনে বরিশাল যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পাঁচ-ছয়দিন ধরে কথা কাটাকাটি চলছিল।
 
নজরুল ইসলাম আরো বলেন, রোববার সকাল ৮টার দিকে তাদের মেয়ে ঘুম থেকে উঠে পাশের বাড়ি থেকে নিজেদের বাড়িতে এসে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। এসময় সে তার বাবা-মাকে ডাকাডাকি করলে ঘরের দরজা না খোলায় সে জানালা দিয়ে উঁকি দেয়। এসময় সে তার বাবা মায়ের মরদেহ দেখে চিৎকার দেয়। চিৎকার শুনে আমরা এসে দেখি ঝর্ণার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। তার ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের তিনটি কোপের চিহ্ন রয়েছে।

এদিকে, দেলবরের মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছে। এ দৃশ্য দেখে তাৎক্ষণিক আমি থানায় ফোন করি।

পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোফাজ্জেল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না। ঘটনার কারণ উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।