রোববার (১১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জিস্কপ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, জিস্কপের যুগ্ম আহ্বায়ক নইমুল আহসান জুয়েল, আহসান হাবিব বুলবুল, শাহ মো. আবু জাফর, এম শাহাদাত হোসেন, অ্যাড. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমাদের গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন নির্ধারণের জন্য মজুরি বোর্ড গঠিত হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের তিক্ত অভিজ্ঞতা হচ্ছে মজুরির কথা বললেই মালিকরা বলেন, বেতন বাড়ালে কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে যাবে। গার্মেন্টস পণ্যের বিশ্ব বাজারে চীনের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। কিন্তু আমরা এটাও জানি যে বাংলাদেশের শ্রমিকদের মজুরি পৃথিবীর সব দেশের শ্রমিকদের মজুরির মধ্যে সবচেয়ে কম। বিশ্বের সব গার্মেন্টস পণ্যের বড় বাজার ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডাসহ ধনী দেশগুলোতে। তাহলে প্রশ্ন হলো, অন্যান্য দেশগুলো যদি বেশি বেতন দিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে তাহলে আমরা পারবো না কেনো?
বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে কিছু মানদণ্ড বিবেচনা করা হয় উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের শ্রম আইনের ১৪১ ধারা অনুসারে ১০টি মানদণ্ডের কথা বলা আছে। সরকারি পে-স্কেল নির্ধারণের ক্ষেত্রে এসব মানদণ্ড মেনে চলা হয়। সেই মানদণ্ড অনুসারেই আমরা গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ১৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছি।
আইএলও কনভেনশন ১৩১এ’র বিষয় উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন, সর্বনিন্ম মজুরি অবশ্যই আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিক ও তার পরিবারের প্রয়োজন, জীবনযাত্রার ব্যয়, সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা ইত্যাদি বিবেচনায় রেখে মজুরি নির্ধারণ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল মজুরি নির্ধারণ বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
এমএএম/জেডএস