নয়াদিল্লিতে ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্সের (আইএসএ) সম্মেলনের ফাঁকে রোববার (১১ মার্চ) আবদুল হামিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা জানান ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারপ্রধান।
এ বৈঠকের বিষয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে বলা হয়েছে, ‘দিল্লিতে আইএসএ বৈঠকের ফাঁকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, মোদীর সঙ্গে বৈঠককালে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তিস্তার পানি বণ্টনের প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন। জবাবে মোদী জানান, এ ব্যাপারে সর্বাত্মক প্রয়াস চালাচ্ছে তার সরকার।
ছিটমহলসহ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অমীমাংসিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হলেও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি আটকে আছে কয়েক বছর ধরে। এজন্য প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছেন মমতা। তার দাবি, বাংলাদেশকে পানি দিলে পশ্চিমবঙ্গ পর্যাপ্ত পানি পাবে না।
জয়নাল আবেদীন জানান, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘উই আর ট্রায়িং টু কিপ হার অন বোর্ড’ (তাকে মানানোর জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি)। ’
২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সফরকালে তিস্তা চুক্তি ঝুলে যাওয়ার পর এর জট আর খোলেনি।
রাষ্ট্রপতি ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি উঠে আসে। এসময় হামিদ মিয়ানমারের দমন-পীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ভারতের সহযোগিতা চান।
জবাবে মোদী জানান, বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের আলোচনা হয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন ভারতের সরকারপ্রধান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
এইচএ/
** নবায়নযোগ্য শক্তির চাহিদায় সমন্বিত অর্থায়ন প্রয়োজন