সোমবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. ওসমান গণির সভাপতিত্বে সভায় মশক নিধনে নেওয়া কর্মসূচিসমূহ তুলে ধরেন ডিএনসিসির কর্মকর্তারা।
বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মালিক সমিতি, কল্যাণ সমিতি, হাউজিং সোসাইটির নেতারা সভায় তাদের বক্তব্য ও বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে ধরেন। আলোচনায় বেরিয়ে আসে যত রকমের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে, তার প্রায় সবই বিফলে যাচ্ছে।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মশক নিধন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চারটি ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হয়েছে। ডিএনসিসিতে ২৮১ মশক নিধন কর্মী কাজ করছেন। ৩১৬টি ফগার মেশিন ও ১০টি হুইল ব্যারো মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। ২ হাজার ১৫৩ বিঘা ডোবা-জলাশয়ের কচুরিপানা ও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়েছে।
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ডোবা-নালা, জলাশয় ও অন্যান্য মশার প্রজননস্থলে লার্ভিসাইড ওষুধ স্প্রে করা হয়। এছাড়া সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সূর্যাস্তের একঘণ্টা আগে থেকে একঘণ্টা পর পর্যন্ত প্রতিটি ওয়ার্ডে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ফগার মেশিনের সাহায্যে উড়ন্ত মশা নিধন করা হয়।
বাস্তবে এসব কার্যক্রমের কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না কেন? এমন প্রশ্ন উঠে আসে মতবিনিময়ে অংশ নেওয়া আমন্ত্রিতদের বক্তব্যে।
উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির সভাপতি ডা. মঈন উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১১ নম্বর সেক্টরের মধ্যে বেশ কিছু ফাকা প্লট রয়েছে। সেখানে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা থেকে মশা বাড়ছে। হোটেলগুলোর ফেলে রাখা ময়লা থেকেও মশার বংশবিস্তার ঘটে। ১০ এবং ১১ নম্বর সেক্টরের মধ্যে আব্দুল্লাহপুর খালে মশার জন্ম হয় উল্লেখ করে সেটি বর্ষার আগে পরিষ্কারের দাবি জানান তিনি।
উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, ড্রেনের ওপর থাকা টং ঘর উচ্ছেদে গত সমন্বয় সভায় যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। দ্রুত এগুলো উচ্ছেদ করতে হবে।
এ সময় অন্যদের উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র-২ জামাল মোস্তফা, প্যানেল মেয়র-৩ আলেয়া সরোয়ার ডেইজী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হাসান, মশক নিয়ন্ত্রণ স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. জিনাত আলী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
এমএইচ/এসআরএস