সোমবার (১৯ মার্চ) দুপুরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এ নিয়ে তিনবারে বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওইটিমে থাকা ৮ সদস্য সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তারা হলেন- ডিবি পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আকতারুজ্জামান, স্বপন চন্দ্র দে, কনস্টেবল মাসুদুল হক (কং/৯৩৮), মো. আব্দুর রহিম (কং/৫৭৮), চৌধুরী রাসেল পারভেজ (কং/৬৬৮), মো. হাসান মাহমুদ (কং/৭০৭) ও কাজী সাইফুল ইসলাম (কং/৬৪৫)।
এরআগে রোববার (১৮ মার্চ) ডিবি পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশানর (ডিসি ডিবি) হিসেবে দায়িত্ব নেন মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইঞা। এ পদে অতিরিক্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিকের উপ-কমিশনার উত্তম কুমার পাল। ওইদিনই ডিবি’র অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি) মো. নাসির উদ্দিন মল্লিক বাংলানিউজকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাংবাদিক সুমন হাসানকে নির্যাতনের ঘটনার পরপরই প্রথমে ১৪ মার্চ সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয় পুলিশ কনস্টেবল মাসুদুল হক। এরপরে অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে ১৫ মার্চ আরও দু’জন অর্থাৎ আব্দুর রহিম ও চৌধুরী রাসেল পারভেজকে বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।
সর্বশেষ গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে রোববার (১৮ মার্চ) রাতে ডিবি পুলিশের ওই টিমের নেতৃত্ব দেওয়া এসআই আবুল বাশার, এএসআই আক্তার এবং স্বপনসহ পাঁচ জনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
এদিকে সুমনকে নির্যাতনকারী ডিবি পুলিশের টিমের আট সদস্যকে বহিষ্কারের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে আলাদাভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব পাওয়ার পরে স্ব স্ব অপরাধ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
গত ১৩ মার্চ দুপুরে অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার পথে নিকটাত্মীয়কে ডিবি পুলিশের হয়রানি করার খবর পেয়ে নগরের বিউটি রোডে যান সুমন হাসান।
ঘটনাচক্রে সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যরা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং প্রকাশ্যে সুমন হাসানকে পেটাতে পেটাতে গাড়িতে তোলে ডিবি পুলিশের সদস্যরা। পথিমধ্যে সুমনের ওপর অমানুসিক নির্যাতন ও ক্রসফায়ারের হুমকিও দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
এমএস/জিপি