সোমবার (১৯ মার্চ) এশার নামাজের পর ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে তৃতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে তার স্বজনেরা শরীয়তপুরের উদ্দেশে রওয়ানা হয়। শরীয়তপুরের ডামুড্যায় নিজ বাড়িতে পৌঁছাতে রাত ২টা থেকে ৩টা বাজবে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ফয়সালের ভগ্নিপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু।
মঙ্গলবার (২০ মার্চ) সকাল ১০টায় ডামুড্যা কলেজ মাঠে সাংবাদিক ফয়সালের চতুর্থ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এরআগে, বিকেল ৫টার দিকে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত সাংবাদিক ফয়সালসহ ২৩ জনের মরদেহবাহী বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ বিমান ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে মরদেহগুলো দ্বিতীয় জানাজার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে আর্মি স্টেডিয়ামে নেওয়া হয়। এরপর ৫টা ২৫ মিনিটে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে, সকালে নেপালের বাংলাদেশ দূতাবাসে নিহদের প্রথম জানানা অনুষ্ঠিত হয়।
শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সামসুদ্দিন সরদারের ছেলে আহমেদ ফয়সাল (২৮)। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে ফয়সার ছিলেন দ্বিতীয় এবং ভাইদের মধ্যে সবার বড়। ফয়সাল রাজধানীর ধানমণ্ডির ১৫ নম্বরে বড় বোন শিউলি আক্তারের বাসায় থাকতেন এবং একটি বেসরকারি টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১২ মার্চ কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণের সময় ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস২১১ বিধ্বস্ত হয়। এতে ৪৯ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশী ছিলেন। এরমধ্যে সাংবাদিক ফয়সাল একজন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
এনটি