বগাদানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসহাক খোকন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (১৯ মার্চ) রাতে নিহত পলাশের বড় ভাই মোকছেদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, রাজধানীতে সব প্রক্রিয়া শেষে সোমবার মধ্যরাতে পলাশের বাড়িতে নিয়ে আসা হবে।
এর আগে সোমবার বিকেল ৪টা ৫মিনিটে পলাশসহ ২৩টি মরদেহ নিয়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ কার্গো বিমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে ওই ২৩ মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে। সেখানে নিহতদের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। পলাশের মরদেহ বুঝে নেন বড় ভাই মোকছেদুর রহমান।
পরে পলাশের মরদেহ তার কর্মস্থল রানা মোবাইলস লিমিটেডে নেওয়া হলে সেখানে তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরআগে নেপালের কাঠমান্ডুতে নিহতদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
নিহত পলাশ ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইলেকট্রিক্যাল বিষয়ে ডিপ্লোমা পাস করে ঢাকায় একটি অটো মোবাইলস কোম্পানিতে কর্মরত ছিলো। কোম্পানির প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য তার নেপাল যাওয়া। পলাশ আউরারখিল গ্রামের আমিন উল্যাহ মিয়ার ছোট ছেলে।
গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন ইউএস-বাংলার একটি প্লেন দুর্ঘটনায় ৭১ আরোহীর মধ্যে চার ক্রুসহ ৪৯জন মারা যান। তাদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। ২৩ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০২ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
এসএইজডি/ওএইচ/