মঙ্গলবার (২০ মার্চ) সকাল ১০টায় ডামুড্যা কলেজ মাঠে জানাজা শেষে নিজ বাড়ি সরদার গার্ডেনে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে সোমবার রাত ৩টার সময় ফয়সালের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স শরীয়তপুরের ডামুড্যায় নিজ বাড়ি এসে পৌঁছায়।
ফয়সালের মরদেহ বাড়িতে আসার খবর পেয়ে শত শত মানুষ তার বাড়িতে ভিড় জমায়। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ।
গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস২১১। এতে নিহত হন ৪৯ জন। নিহত ২৬ জন বাংলাদেশির মধ্যে সাংবাদিক ফয়সাল একজন।
সোমবার (১৯ মার্চ) সকালে নেপালের বাংলাদেশ দূতাবাসে নিহতদের প্রথম জানাজা শেষে বিকেল ৪টা ০৫ মিনিটে সাংবাদিক ফয়সালসহ ২৩ জনের মরদেহবাহী বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ প্লেন ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। সেখান থেকে মরদেহগুলো দ্বিতীয় জানাজার জন্য আর্মি স্টেডিয়ামে নেওয়া হয়। সেখানে ৫টা ২৫ মিনিটে দ্বিতীয় জানাজা এবং বাদ এশা প্রেসক্লাবে তৃতীয় জানাজা শেষে ফয়সালের মরদেহ নিয়ে শরীয়তপুরের উদ্দেশে রওনা হন তার স্বজনরা। রাত ৩টার সময় শরীয়তপুরের ডামুড্যা নিজ বাড়িতে পৌঁছে ফয়সালের মরদেহ।
মঙ্গলবার (২০ মার্চ) সকাল ১০টায় ডামুড্যা কলেজ মাঠে সাংবাদিক ফয়সালকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপজেলা প্রশাসন, জেলা ও উপজেলা প্রেসক্লাব ও বিভিন্ন সংগঠন। এরপর জানাজা শেষে ফয়সালকে নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।
শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সামসুদ্দিন সরদারের ছেলে আহমেদ ফয়সাল (২৮)। ৫ ভাই বোনের মধ্যে ফয়সাল ছিলেন দ্বিতীয় এবং ভাইদের মধ্যে সবার বড়। ফয়সাল রাজধানীর ধানমন্ডির ১৫ নম্বরে বড় বোন শিউলি আক্তারের বাসায় থাকতেন এবং বৈশাখী টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
অফিস থেকে ৫ দিনের ছুটি নিয়ে কাউকে কিছু না বলেই নেপালে বেড়াতে গিয়ে প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত হন ফয়সাল।
২০০৪ সালে ডামুড্যা মুসলিম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করার পর ঢাকায় তিতুমীর কলেজ থেকে এইচএসসি এবং স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে অনার্স সম্পন্ন করে ৫ বছর হয় সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দেন ফয়সাল। ব্যক্তি জীবনে ফয়সাল ছিলেন অবিবাহিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
আরএ