মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) সকাল থেকেই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে উপচেপড়া ভিড়। তিল ধারণের ঠাঁই নেই টার্মিনালের পন্টুনগুলোতে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দূরপাল্লার যাত্রীরা লঞ্চের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করছেন। নির্ধারিত সময়ে লঞ্চ না আসায় সে ভিড় বাড়ছে ক্রমে। দু’একটি দূরপাল্লার লঞ্চ ঘাটে ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।
স্বল্পপাল্লার বিভিন্ন লঞ্চ টার্মিনালে পর্যাপ্ত থাকলেও কিছুক্ষণ পরপরই যাত্রী বোঝাই হয়ে গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে। ঝুঁকি সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্য করেই লঞ্চের ডেক ও ছাদে যাত্রী পরিপূর্ণ করতে দেখা গেছে।
রায়হান নামে বরিশালগামী এক যাত্রী পরিবারসহ অপেক্ষা করছেন পন্টুনে। তিনি জানান, সকাল সাতটা থেকে লঞ্চের আশায় বসে আছেন তিনি। মাঝখানে একটি লঞ্চ ছেড়ে গেলেও পরিবারসহ ওঠার সুযোগ হয়নি তার।
ভোলা যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত কাওসার আলম। তিনি বলেন, গতকাল পর্যন্ত অফিস ছিল, তাড়াহুড়ো করে রাতে আর রওয়ানা দেইনি। ভাবলাম আজ ভোরে এসে লঞ্চ পাওয়া যাবে। প্রায় চারঘণ্টা ধরে বসে আছি, লঞ্চের খবর নেই।
এর মধ্যেই সকাল ১০টার পর পর ঢাকা-চরফ্যাশন রুটে চলাচলকারী এমভি তাসরিফ-৪ ঘাটে ভিড়লো। সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের দৌড়-ঝাঁপ। ভাড়া কত কিংবা কতজন উঠতে পারবে সেদিকে নজর নেই কারো। স্বেচ্ছাসেবক এবং পুলিশ সদস্যরাও কাউকে রুখতে পারছেন না। পরে পুলিশ সদস্যরা লঞ্চে উঠে ডেকের যাত্রীদের ঠেলে নামাতে বাধ্য হলেও মুহূর্তের মধ্যে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঘাট ছাড়ে এমভি তারসরিফ-৪।
ঢাকা-চাঁদপুর রুটে চলাচলকারী এমভি ঈগল-৩ এর যাত্রী শাহীন মিয়া জানান, ঈদ উপলক্ষে সবক্ষেত্রেই ভাড়া বেশি। লঞ্চেও যার কাছ থেকে যেমন খুশি বেশি রাখছে। তারপরেও বাড়ি যেতে পারছি এটাই আনন্দের।
ঢাকা-নাজিরাপুর রুটে চলাচলকারী কর্ণফুলী-১৪ লঞ্চটি যাত্রী বোঝাই হওয়ার পরেও লঞ্চের কর্মচারীদের যাত্রীর জন্য হাঁক-ডাক দিতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসান নামে এক কর্মী বলেন, সামান্য রাস্তা, একটু বেশি যাত্রী নিলে কোনো সমস্যা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
পিএম/এএ