তিনি খাগড়াছড়ির পানছড়ি মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বেপরোয়া গতিতে থাকা বাসটির চালক মোবাইল ফোনে কথা বলার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন আহতরা। এর আগে গত ১০ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বহনকারী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে উল্টে যায়। ওই দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও ২০ জন আহত হন।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের অক্সিজেন থেকে যাত্রীবাহী বাসটি খাগড়াছড়ি যাচ্ছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খাগড়াছড়ির প্রবেশমুখের আলুটিলা নামক এলাকায় পাহাড় থেকে নামার সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন হতাহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহত আব্দুল বারেক বলেন, বাসের চালক শুরু থেকে কিছুক্ষণ পর পর মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন আর বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আমরা অনেকবার কথা না বলে আস্তে গাড়ি চালাতে বলেছি। কিন্তু কথা শোনেননি। দুর্ঘটনার আগ মুহূর্তেও মোবাইলে ফোনে কথা বলছিলেন।
বাসের আরেক আহত যাত্রী মো. নাসির বলেন, চালক আমাদের কথা না শোনায় বাসের ভেতর আমরা শক্ত করে ধরে বসি। মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে পাহাড় থেকে নামার সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় উল্টে যায়।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদাৎ হোসেন টিটো বলেন, বাসটির চালককে পাওয়া যায়নি। বাসটি আমরা জব্দ করেছি। আর নিহতের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া গেলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
এডি/আরআর