মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) দুপুরের পর সরেজমিনে মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, টিকিটের জন্য যাত্রীদের দীর্ঘ কোনো লাইন নেই। তবে অন্য পরিবহনের টিকিট কাউন্টারে ভিড় না থাকলেও এনা পরিবহন কাউন্টারে কিছুটা ভিড় রয়েছে।
রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহ, হালুয়াঘাট, টাঙ্গাইল, নান্দাইল, কিশোরগঞ্জ এলাকার বাস বেশি চলাচল করে থাকে। এছাড়া কুড়িগ্রাম, রংপুর, বগুড়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার বাসও সীমিতভাবে এ টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়।
বাস টার্মিনালের টিকিট কাউন্টারের লোকজনের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, মহাখালী বাস টার্মিনাল ছোট। এটা সায়েদাবাদ ও গাবতলীর মতো বড় টার্মিনাল নয়। সে কারণে লোকজনও ওই দুই টার্মিনালের চেয়ে এখানে কম হয়ে থাকে। তবে ঈদে যাত্রীদের চাপ বেশি হয়। কয়েকদিন ধরে লোকজন বাড়িতে গেছে। মঙ্গলবার সকালেও যাত্রীদের চাপ ছিলো। তবে দুপুরের পর থেকে যাত্রীদের চাপ কমতে শুরু করেছে।
দুপুরের পর থেকে বাস টার্মিনালের টিকিট কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, অনন্যা, উজানভাটি, সিয়াম এন্টারপ্রাইজ, ক্রাউন ডিলাক্স, রিয়াদ এন্টারপ্রাইজ, বিনিময়, বন্যা, শাহ ফতেহ আলী, বাদশা, একতা, রিফাত পরিবহন বিভিন্ন কাউন্টারের সামনে তেমন ভিড় নেই। অনেক কাউন্টার ফিরতি বাস এলে টিকিট বিক্রি করবেন বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জগামী যাত্রী সায়েদুল হাসান জানালেন, প্রতি বছরই তিনি ঈদের আগের দিন বাড়ি যান। ঈদের দিন সকালে উঠেই লোকজন বাস টার্মিনালে চলে আসেন। সে কারণে সকালে ভিড় বেশি হয়। দুপুরের পর থেকে লোকজন খুব একটা আসেন না। তাই সে সময় অনেকটাই নিরিবিলি বাড়ি যাওয়া যায়। তাই দুপুরের পরের সময়টাকেই বাড়ি ফেরার জন্য বেছে নিয়েছেন তিনি।
মহাখালী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের অভিযোগও রয়েছে। অনেকেই টিকিট কেটে বসে আছেন, ফিরতি বাস এলে তবেই তারা যেতে পারবেন। আবার দু’একটি পরিবহনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন যাত্রীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
টিআর/জেডএস