মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দু'শতাধিক যাত্রীবাহী বাস, আড়াই'শ গরুবাহী ফেরত খালি ট্রাক ও দু'শতাধিক ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি নৌরুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান পাটুরিয়া ফেরিঘাট সাব-কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক ইনচার্জ (টিআই) ফজলুল হক।
তবে লোকাল বাসের লঞ্চ পারাপারের যাত্রীর চাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে ভ্যাপসা গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনে বসে থেকে চরম ভোগান্তির কবলে পড়েছেন নারী, শিশু ও বয়স্ক যাত্রীরা। দেড় থেকে দুই ঘণ্টার অপেক্ষায় ছোট গাড়িগুলো নৌরুট পারের সুযোগ পেলেও যাত্রীবাহী বাসগুলোকে অপেক্ষার প্রহর গুনতে হচ্ছে সাড়ে তিন থেকে সাড়ে চার ঘণ্টা পর্যন্ত।
রাবেয়া পরিবহনের যাত্রী দিলরুবা বেগম জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় গাবতলী থেকে রওনা হয়ে বিকেল সাড়ে তিনটায় ফেরিঘাট এলাকায় পৌঁছায় তাদের গাড়ি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ফেরিতে ওঠার সুযোগ পাননি তারা। ফেরিতে উঠতে প্রায় আরও আধ ঘণ্টা সময়ের মতো অপেক্ষা করতে হবে বলে জানান তিনি।
পাইকগাছামুখী গ্রীনবাংলা পরিবহনের সুপারভাইজার রাসেল হোসেন জানান, বেলা ১১টায় গাবতলী থেকে রওনা হয়ে বিকেল ৪টার দিকে ফেরিঘাট এলাকায় পৌঁছায় তাদের গাড়ি। রাত ৮টা পর্যন্ত ফেরিঘাট এলাকায় অন্য গাড়ির মতো অপেক্ষমাণ তাদের গাড়িও। মহাসড়ক ও ফেরিঘাট এলাকায় ভোগান্তির ফলে অনেক যাত্রীই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ফেরিঘাটের খাইখাই স্টোর মোড় এলাকায় ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির যাত্রী আতিফুন নাহার জানান, মহাসড়কে অসহনীয় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। ফেরিঘাট এলাকায় এসেছেন প্রায় ঘণ্টা খানেক। আর অল্প কিচ্ছুক্ষণের মধ্যে তারা ফেরিতে উঠতে পারবেন বলে স্বস্তি প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
কেএসএইচ/জেডএস