কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার ড. এ কে এম ইকবাল হোসেন, কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত সুপার ফজলে রাব্বি এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৭ এর কক্সবাজার ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, পর্যটকসহ স্থানীয়দের নিরাপত্তায় পুলিশ, বিচকর্মী ও র্যাবকে সহযোগিতার জন্য দু’জন নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে দু’টি মোবাইল টিম পর্যটন জোনে অবস্থান করছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. এ কে এম ইকবাল হোসেন বলেন, কক্সবাজার সদর থানার নিয়মিত ৮৪ জন পুলিশের পাশাপাশি ঈদুল আজহায় নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ১৪৯ জন পুলিশ। আটটি মোবাইল টিমে ৮০ জন, আটটি পিকেটে ৬৪ জন, ২০ জন নিরাপত্তা চৌকির, টহল ডিউটিতে পাঁচজন এবং মোটরসাইকেল মোবাইল আটজন এবং ৩৪ জন পুলিশ ঈদগাহ ময়দানের নিরপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। তাদের তদারকির দায়িত্বে রয়েছে তিনজন কর্মকর্তা। এভাবেই ঈদের পরের এক সপ্তাহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি আরো বলেন, ছিনতাই, ইভটিজিং, যাত্রী হয়রানি রোধেও সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করবে।
র্যাব-৭ এর কক্সবাজার ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, ঈদুল আজহার নিরাপত্তা বিধানে চারটি মোবাইল টিমে ৪৮ জন র্যাব সদস্য কাজ করছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত সুপার ফজলে রাব্বি বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় ২৪ ঘণ্টা দায়িত্বে রয়েছে ৩০ জন বিচকর্মী ও সমুদ্র সৈকতে রয়েছে ৯০ জন ট্যুরিস্ট পুলিশ।
এছাড়া ছিনতাই ও পর্যটক হয়রানি রোধে টহল দল, সাদা পোশাকেও পুলিশ থাকছে।
তিনি আরো বলেন, বর্ষা মৌসুমের শেষ মুহূর্তে এ উৎসবে সমুদ্রে যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সেদিকেও খেয়াল রাখবে পুলিশ। ভাটার সময় পর্যটকদের সর্তক করতে মাইকিংসহ মনিটরিং করা হবে। এছাড়া সন্ধ্যার পরে গোসল করার জন্য একটি নির্দিষ্ট পয়েন্ট ঠিক করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৮
টিটি/এসআই