মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টায় এসব পরিবহন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়ে বুধবার (২২ আগস্ট) সকাল ৮টায় পৌঁছায় ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্টে।
সোহার্দ্য পরিবহনের যাত্রী হরিত প্রসাদ গোস্বামী বাংলানিউজকে জানান, গত মঙ্গলবার ভোরে তিনি চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সোহার্দ্য পরিবহনে ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়।
এছাড়া সড়কের বিভিন্ন স্থানেও আটকে থাকে যানজটে। সড়কপথে এই দুর্ভোগের কারণে তারা নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছাতে না পারায় এদিন ভারতে ঢুকতে পারেননি।
যাত্রী আব্দুল্লাহ বলেন, বেনাপোল পৌঁছাতে অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় এদিন স্থানীয় আবাসিক হোটেলগুলোতেও তারা কোনো সিট খালি পাননি। পরিবার-পরিজন নিয়ে বাস কাউন্টারে রাতভর জেগে কাটাতে হয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সোহার্দ্য পরিবহন কর্তৃপক্ষ গতকাল বিকালে বিষয়টা তাদের জানালে তারা ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশকে অবহিত করেন। তারা বিশেষ বিবেচনায় রাত ৮টা পর্যন্ত যাত্রী নিতে ইমিগ্রেশন খোলা রাখার বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু রাত ৮টার মধ্যে বাস পৌঁছাতে না পারায় ইমিগ্রেশন বন্ধ হয়ে যায়। পরে বুধবার (২২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টায় সোহার্দ্য পরিবহনের তিনটি বাসসহ আটকে পড়া অন্য বাসের যাত্রীরা ভারতে ঢোকেন।
এদিকে আটকে পড়া যাত্রীদের ২১ আগস্ট বিকেল ৫টার মধ্যে কলকাতা পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু যানজটে আটকে পড়ায় এখন তাদের একদিন পর (ঈদের দিন) গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে। এতে যাত্রীদের মধ্যে যারা মুসলিম সম্প্রদায়ের আছেন তাদের স্বজন ছাড়াই রাস্তায় ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়। সড়কের অব্যবস্থাপনাকে দোষারোপ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৮
এজেডএইচ/এএ