সকালে গাবতলী বাস টার্মিনালে হাজারও মানুষের ভিড় দেখা গেছে। আর মহাসড়কে যানজট না থাকায় তাদের চেহারায় দেখা যায় স্বস্তির ছাপ।
যশোরের শহিদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান। দু’জনই গার্মেন্ট শ্রমিক। ঈদের আগের জটলা এড়াতেই শেষ মুহূর্তে নাড়ির টানে বাড়ি যাচ্ছেন।
শহিদুল বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) জ্যাম হবে জেনেই নিরিবিলি আজকে বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি।
অনেকে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করেন। কিন্ত ঈদের আগে ছুটি না পেয়ে ঈদের দিন ঢাকা ছাড়ছেন। তাদের মধ্যে একজন বগুড়ার মানিক মিয়া।
ঈদের দিন বাড়ি যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জ জুতার ফ্যাক্টারিতে চাকরি করি। ছুটি পাইনি। সারা রাত কাজ করে সকালে বাড়ি যাচ্ছি।
সাউদিয়া পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মোহাম্মদ স্বপন বলেন, ঈদের দিনও যাত্রী ভালো। নানা প্রয়োজনে অনেকে ঢাকা ছাড়ছেন। যারা এর আগে টিকিট পায়নি, রাস্তায় যানজটের ভয় ছিলো, ঝামেলা পছন্দ করেন না, তারাই আজক নিরিবিলি ঢাকা ছাড়ছেন।
আর তাতে যাত্রীর তুলনার বাসের সংখ্যা কম বলেই মনে করছেন অপেক্ষমাণরা।
শ্যামলী এন আর ট্রাভেল্সের ম্যানেজার প্রভাত রায় বলেন, যারা ঈদের আগে সিট পাননি, রাস্তায় জটলার ভয়ে ঈদের নামাজ আদায় করে বাড়ি যাচ্ছেন। আজকে বাস কম কিন্তু যাত্রী বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৮
এমআইএস/জেডএস