বুধবার (২২ আগস্ট) ঈদুল আজহার দিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের পরিবহনে দেখা গেছে, বকশিস নিয়ে রীতিমতো বাণিজ্য শুরু হয়েছে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশাচালক, বাসের কন্ডাকটর, এমনকি কসাই, ব্যাংক বুথের পাহারাদারকে বকশিস দিতে হচ্ছে।
ঈদের দিন রাজধানীর প্রায় প্রতিটি বাসেই চলছে বকশিস বাণিজ্য। প্রতিটি রুটের বাস সার্ভিস থেকে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ‘ঈদ বকশিস’র নামে। বাস কম থাকার ফলে এই বকশিসের মাত্রাটাও বেশি। যেখানে ভাড়া ২০ টাকা। সেখানে বকশিসের নামে ৩০-৩৫ টাকাও আদায় করা হচ্ছে। মগবাজার থেকে পল্টনে ৬ নম্বর বাসের ভাড়া ৭ টাকা হলেও যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা। পল্টন থেকে মহাখালী বাসে ১৫ টাকা ভাড়া হলেও ৩০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। বকশিসের নামে দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ের কারণে এ নিয়ে যাত্রী ও কন্ডাকটরের মধ্যে বাদানুবাদও হচ্ছে।
রাজধানীর পল্টন এলাকায় দেখা যায়, গরু জবাই শেষে বেশ কয়েকজন কসাই নির্ধারিত শ্রমের চেয়ে আরো ৫০০ টাকা বেশি দাবি করছেন। গরুর মালিকদের মধ্যে একজন একটু ক্ষোভ নিয়েই ওই টাকা দিলেন। আবার পল্টনের একটি বেসরকারি ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তুলে বেরিয়ে আসতে দেখা গেলো এক গ্রাহককে। বের হতে না হতেই বুথের পাহারাদার সালাম দিয়ে বকশিস চাইলেন। পেলেনও। কিন্তু কেউ বকশিস না দিলে দারোয়ান মুখ কালো করে চেয়ে থাকেন।
ঈদের দিন রিকশা চালকদেরও দিতে হচ্ছে বকশিশ। কোনো রিকশাওয়ালা নির্দিষ্ট ভাড়া নিয়ে যথাস্থানে যাওয়ার পরে বকশিস দাবি করছেন। আবার বকশিসের নামে কেউ কেউ দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করছেন। এ নিয়ে যাত্রীরা বিরক্ত প্রকাশ করছেন। অনেকেই নিতান্ত বাধ্য হয়েই বকশিস দিচ্ছেন।
রাজধানীর প্রেসক্লাবে রিকশাযাত্রী আজম শেখ রিকশাচালকদের বকশিস চাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। এই প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, প্রতিটি রিকশাচালক বকশিস চাইছেন। কেউ কেউ বকশিস না দিলে যেতে চাইছেন না। ঈদে বকশিশ দেওয়ার প্রচলন তৈরি হয়েছে। তবে অনেকেই জোর করে এই বকশিস আদায় করতে চাইছেন, সেটাই সমস্যা বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৮
টিআর/জেডএস