এছাড়া এ ঘটনায় আরো ৫ জন আহত হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বুধবার (২২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিহত অলিল ঘরামী’র (অলিউল ঘরামী) বাড়ির সামনে হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত অলিল ঘরামী ওই এলাকার রতনপুরের মজিদ ঘরামীর ছেলে।
নিহতের ভাই রিপন ঘরামী জানান, আগে থেকেই জমিজমা নিয়ে এলাকার শাহআলম ঘরামীর পরিবারের সঙ্গে বিরোধ ছিলো। সকালে অলিল ঘরামী নামাজ পরে বাড়িতে প্রবেশের সময় দেখতে পান পুকুরের ঘাটের কাছে শাহআলম ঘরামীরা পশু কোরবানির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু সেখান দিয়ে সবাই গোসল করায় তিনি শাহআলম ঘরামীর লোকজনকে অন্যত্র কোরবানির পশু জবাই দেওয়ার জন্য বলেন।
এসময় তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অলিল ঘরামী গুরুতর জখম হয়। তাকে উদ্ধারে গিয়ে হুমায়ুন ঘরামী (২৮), কামাল হোসেন ঘরামী (৩০), মো. মাসুদ (২৫), শাহগিদ হোসেন (২৪) ও আলমগীর হোসেন (৪৪) গুরুতর আহত হয়। যাদের শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতের মরদেহ সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের জন্য শেবাচিম হাসপাতালের মরদেহ রাখা কক্ষে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম।
এ বিষয়ে কাজীরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুণ অর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, অলিল ঘরামী ও শাহআলম ঘরামী পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা ও একে অপরের আত্মীয়। তাদের বাড়ি’র সামনের পুকুরে ঘাট বাঁধানো রয়েছে। সকালে সেই ঘাটের কাছে পশু কোরবানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে অলিল ঘরামীর সঙ্গে শাহআলম ঘরামীর বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। যে ঘটনায় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত ও অলিল ঘরামী নিহত হয়।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, পাশাপাশি এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৮
এমএস/জেডএস