গুলশানে পরিচিত এক বিত্তশালীরর বড় চারটি কোরবানির গরু প্রস্তুত করেছেন। বিনিময়ে ৩৫ হাজার টাকায় ও ১৫ কেজি মাংস পেয়েছেন।
পারভেজের মতে, কারণ, এতো পথ পাড়ি দিয়ে এই মাংস ফরিদপুর নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, নষ্ট হয়ে যাবে। এই হাটে প্রতিকেজি মাথার মাংস ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রগ ও হাড়সহ মাংসের ভাগা ১০০ টাকায় মিলছে এই হাটে। তবে ভালো ফ্রেশ মাংস কিনতে হলে গুণতে হবে ৩০০ টাকা। অধিকাংশ মৌসুমী কসাইয়েরা এসব হাটে মাংস বিক্রি করছেন। একই চিত্র দেখা গেছে নগরীরর রামপুরা টেলিভিশন ভবনের মোড়, মালিবাগ রেলগেট এলাকায়। অস্থায়ী মাংসের হাটে শত শত মানুষ এসব মাংস কেনার জন্য ভিড় করেছেন। যারা হয়তো কোরবানি দিতে পারেননি এমনকি ৫০০ টাকা কেজি দরে মাংস কেনার সামর্থ্য নেই যাদের। এসব ক্রেতা-বিক্রেতা অধিকাংশ নিম্ন-মধ্যবিত্ত।
রামপুরা টেলিভিশন এলাকায় মাংস কিনতে এসেছেন আলাউদ্দিন। জন্মস্থান রংপুরে। নগরীতে রিকশা চালান তিনি। গরুর মাংসে কিনে কয়েকজনে মনের আনন্দে খাবেন আলাউদ্দিন।
এই হাটে ছোট ছোট ব্যাগ হাতে অনেক নারীকে দেখা গেছে। নগরীর বিভিন্ন বাসা-বাড়ি থেকে মাংস সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন এসব নারী। ধারণার উপরে ব্যাগসহ এসব মাংস বিক্রি হচ্ছে। এমনকি দুই কেজি ভালো মানের মাংস ৫শ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এদের মধ্যে একজন আম্বিয়া খাতুন। মধুবাগ এলাকা থেকে মাংস সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন তিনি। দুই কেজি মাংস ৫শ টাকায় বিক্রি করবেন তিনি।
আম্বিয়া বাংলানিউজকে বলেন, বাসা-বাড়িতে টাহায়-টুহায় মাংস আনচি। এতো টুকান মাংস খাওয়ান যায়। হাটে তুলচি বেচিমু। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৮
এমআইএস/এএটি