বুধবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৫টা থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় শুরু হয় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম। এরপর বিরতিহীনভাবে চেষ্টা চালিয়ে বুধবার দিনগত রাত ২টার মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়।
জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে রাসিকের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মামুন ডলার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শেখ মোহাম্মদ মামুন দাবি করে বলেন, এবার নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানিতে সাধারণ মানুষের তেমন সাড়া পাওয়া না গেলেও প্রত্যেকে সচেতন ছিলেন। রাসিক থেকে সরবরাহ করা সবুজ পলিব্যাগে বর্জ্য সংরক্ষণ করেন। পরে বিকেলে রাসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেই ব্যাগ সংগ্রহ করেন।
তিনি দাবি করে বলেন, এবার নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানিতে সাধারণ মানুষের তেমন সাড়া পাওয়া না গেলেও প্রত্যেকে সচেতন ছিলেন। রাসিক থেকে সরবরাহ করা সবুজ পলিব্যাগে বর্জ্য সংরক্ষণ করেন। পরে বিকেলে রাসিকের পরিচ্ছন্নতা কর্মচারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেই ব্যাগ সংগ্রহ করেন।
এছাড়া যারা নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দেননি তারাও গর্ত খুঁড়ে কোরবানির রক্ত পুঁতে দিয়েছেন। বর্জ্য ফেলেছেন নির্দিষ্ট স্থানে। রাসিকের আহ্বানে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন সাধারণ মানুষ।
তিনি আরও জানান, প্রথমে শহরের অলিগলিতে পড়ে থাকা পশুর বর্জ্য অপসারণ করে মূল সড়কে নিয়ে স্তুপ করে রাখা হয়। এরপর শুরু হয় ট্রাকে তুলে মহানগরীর টিকর এলাকার ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে যাওয়া। রাসিকের এ অপসারণ কার্যক্রমে ঈদের দিন রাতেই মহানগরীর সব এলাকার বর্জ্য চলে যায় ডাম্পিং স্টেশনে। এভাবে দুই ধাপে শতভাগ কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কাজ শেষ হয়।
বুধবার বিকেল ৫টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বর্জ্য অপসারণ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা ছিল। কোথাও বর্জ্য ও অবশিষ্টাংশ পড়ে থাকার খবর পেলেই পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও গাড়ি পাঠানো হয়। যেখানে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে সেখানে পানি দিয়ে ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এভাবে ঈদের দিন রাতেই ঝকঝকে সুন্দর পরিচ্ছন্ন মহানগরীতে পরিণত হয় রাজশাহী।
এক প্রশ্নের জবাবে মামুন জানান, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৪শ’ পরিচ্ছন্নতা কর্মী বর্জ্য অপসারণের কাজ করেন। বিশেষ ব্যবস্থায় ছয়টি ইঞ্জিনের সঙ্গে ১২টি ট্রলি যুক্ত করা হয় এবং আটটি হাইড্রলিকের মাধ্যমে ৩০টি ওয়ার্ড থেকে প্রায় ৭শ’ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৮
এসএস/ওএইচ/