দুই পায়ের হাড়, জয়েন্টের হাড় ও বাম হাত ভেঙে গেছে তার। মাথা ও শরীরে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন।
রাহিমের মতো নিটোরে ভর্তি শত শত স্বজনদের কোরবানির ঈদের আনন্দ ছুঁতে পারেনি।
হাত-পায়ের হাড় ও শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে রোগীদের কাতর কণ্ঠ হাসপাতালের দেয়াল জুড়ে। হাসপাতালের পক্ষে কোরবানির ঈদের দিন পোলাও, মাংস ও ফিরনি দিলেও অনেক স্বজন খেতে পারেননি।
জরুরি পুরুষ ওয়ার্ডের ইএক্স-১০ বেডে চিকিৎসা নিচ্ছে জিয়ান হাসান। অটোরিকশায় শিশুটির হাত-পা ভেঙে গেছে। পাঁচদিন আগে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকায় দুর্ঘটনায় পড়ে জিয়ান। বুধবার ঈদ ছিলো ভুলে গেছেন মা শরিফা আক্তার। তিনি বলেন, ‘পোলাই জখম ঈদ কি? বাইচে থাকলে ঈদ করুন যাইবো। ’ইএক্স-৩১ বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন সামছুল হক। গত ১৯ আগস্ট নিটোরে ভর্তি হয়েছেন তিনি। সিরাজগঞ্জ কড্ডার মোড় থেকে ট্রেনের ছাদে চড়ে জয়দেবপুর আসছিলেন। পথের মধ্যে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। এক সময় ট্রেনের ছাদ থেকে ছিনতাইকারী ফেলে দেয়। ছাদ থেকে পড়ে পায়ের হাড় কয়েক খণ্ড হয়ে যায়। এখন পায়ের মধ্যে একাধিক রড। পা বেডের সঙ্গে টানা দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।
এসব রোগীর স্বজনদের ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরাটাই হবে তাদের জন্য ঈদের আনন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৮
এমআইএস/আরআর