বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে ডিএনসিসি।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
তিনি জানান, এ বছর কোরবানির পশুর ব্যবস্থাপনার মতো একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন পূর্ব ঘোষিত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সাফল্যের সঙ্গে সমাপ্ত করতে পেরেছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রথমদিনে আনুমানিক ২ লাখ ১৫ হাজার পশু কোরবানি হয়েছে। সিটি করপোরেশনের পশু জবাইয়ের ১৮৩টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। এছাড়া সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন আবাসিক কমপ্লেক্সের ভেতরে উপযুক্ত স্থান হিসেবে চিহ্নিত ৩৬৬টি স্থানসহ মোট ৫৪৯টি স্থানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পশু কোরবানি দেওয়া হয়েছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবছর নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানিতে জনগণের সাড়া ছিল উৎসাহব্যঞ্জক। নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ওয়েব্রিজ ঢাকা অনুযায়ী ১ হাজার ৫৪৫টি ট্রিপে ৮ হাজার ৫০০ টন বর্জ্য ল্যান্ডফিলে পরিবহন করা হয়েছে। এই স্বল্পসময়ে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য অপসারণ, বর্জ্য ব্যবস্থায়ন এবং সড়ক পরিচ্ছন্নতা কাজে ২৮০টি বিভিন্ন ধরনের যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত ছিল। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে কোরবানি বর্জ্য অপসারণে নিজস্ব ২ হাজার ৭০০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মীসহ সর্বমোট ৯ হাজার ৫০০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী নিরলস পরিশ্রম করে ঢাকা শহরকে আবর্জনামুক্ত করেছেন।
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবং সহযোগিতায় কোরবানির প্রথম দিনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় বিপুল পরিমাণ বর্জ্য সব ওয়ার্ড থেকে ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে অপসারণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন, তারেকুজ্জমান রাজিব, ডা. জিন্নাত আলী, দেওয়ান আব্দুল মান্নান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন বাবুল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৮
টিআর/জেডএস