একইভাবে গত বছর ভেঙে গেছে ঐতিহ্যবাহী কাদির পণ্ডিতেরহাট ও লুধূয়া বাজার। গেলো ৯ বছরে উপজেলার ৮টি হাট-বাজার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, মাতাব্বরহাট সংলগ্ন নদীর তীররক্ষা বাঁধ গত এক মাসে তিন বার ধসেছে। এক বছরে ধস নেমেছে আট বার। ধসে-ধসে বাঁধ যেনো বিধ্বস্ত।
ভাঙন থেকে কমলনগর রক্ষায় মাত্র এক কিলোমিটার বাঁধ যথেষ্ট নয়। পর্যাপ্ত বাঁধ না থাকায় তীররক্ষা বাঁধের দুই পাশে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এতে দুর্বল হয়ে পড়েছে তীররক্ষা বাঁধ। যে কারণে বাঁধে বারবার ধস নামছে। নদীর তীব্র জোয়ারে অতিরিক্ত পানির চাপে মাতাব্বরহাটের ৭টি দোকান ঘর ভেঙে গেছে। হুমকিতে রয়েছে ওই বাজারের শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
ব্যবসায়ীরা জানান, তীররক্ষা বাঁধ পর্যাপ্ত না থাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে বাজারে। এতে পানির তোড়ে খাল পাড়ের দোকানঘরগুলো ভেঙে পড়ে। এদিকে নদীভাঙন ধেয়ে আসছে। দ্রুত আরও বাঁধ নির্মাণ না করা হলে বাজারটি বিলীন হয়ে যাবে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নদীতে ভেঙে পড়লে আমাদের পথে বসতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা আকতার মিয়া বলেন, বাঁধের দক্ষিণ পাশের বাড়িটাই তার। ভাঙনে বাড়ি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকারী পদক্ষেপ না থাকায় পুরো এলাকাজুড়ে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী বলছেন, কমলনগরে নদী ভাঙনরোধে মাত্র এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। এই উপজেলা রক্ষায় তা যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন আরও ৮ কিলোমিটার। যেটুকু বাঁধ হয়েছে তাতেও নানা অনিয়ম হয়েছে। অপরদিকে একই সময়ের বরাদ্দকৃত টাকায় পাশ্ববর্তী রামগতি উপজেলা সদর আলেকজান্ডারে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সাড়ে তিন কিলোমিটার বাঁধ সফলভাবে নির্মাণ হয়েছে। এতে রক্ষা পেয়েছে রামগতি উপজেলা সদর আলেকজান্ডারসহ বিস্তীর্ণ জনপদ।
‘কমলনগরের তীররক্ষা বাঁধ সেনাবাহিনীকে দিয়ে নির্মাণ করা হলে টেকসই ও মজবুত হতো। এতে ভাঙন থেকে কমলনগর রক্ষা পেতো। সেনাবাহিনীকে দিয়ে না করিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে কাজ করাতেই বারবার বাঁধে ধস নামছে; ভেঙে যাচ্ছে হাট বাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা’।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মুসা বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের বাঁধ নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৮
এসআর/জেডএস