ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৮
পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার পর্যটকের কোলাহলে মুখরিত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। ছবি: বাংলানিউজ

কক্সবাজার: হাজারো পর্যটকের কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। ছুটির আনন্দকে কয়েকগুন বাড়াতে ঈদের দ্বিতীয় দিন কক্সবাজারে এসেছে প্রায় ৫০ হাজার পর্যটক। ধীরে ধীরে এর সংখ্যা আরো বাড়ছে।

শুক্রবার (২৪ আগস্ট) ও শনিবার (২৫ আগস্ট) কক্সবাজারে কমপক্ষে দুই লাখ পর্যটক অবস্থান করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে সমুদ্র সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, ডায়বেটিকস পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত পর্যটকের কোলাহলে মুখরিত।

অনেকে গোসল করছেন, কেউ গান গাইছেন, আবার কেউ প্রিয়জনের সঙ্গে খালি পায়ে হেঁটে বেড়াচ্ছেন, আবার অনেকেই বসে বসে সমুদ্র দেখছেন।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরা মালিক সমিতির মুখপাত্র কলিম উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের দ্বিতীয় দিনে সমুদ্র সৈকতে প্রায় ৫০ হাজার পর্যটক এসেছেন। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আরো ৩০ হাজার পর্যটক এসেছেন।

তিনি আরো বলেন, শুক্রবার ও শনিবার কক্সবাজারের সমস্ত হোটেল বুকিং হয়ে গেছে। কোথাও রুম খালি নাই। ওই দুইদিন কমপক্ষে দুই লাখ পর্যটক কক্সবাজারে অবস্থান করবে।

পর্যটন সূত্র জানায়, শহরের কলাতলীর সৈকত ঘেঁষে এক বর্গকিলোমিটারে তারকা মানের আটটিসহ প্রায় ৫০০টি হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউজ, কটেজ ও ফ্লাট রয়েছে। এছাড়া শহরের দিকে আরো ৩০টি হোটেল রয়েছে। সব মিলিয়ে কক্সবাজারে প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ পর্যটকের রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে।

ঢাকা থেকে আগত মোবারক-তানজিমা দম্পত্তি বাংলানিউজকে বলেন, সমুদ্র, পাহাড় আর ঝর্ণা আমাদের খুব প্রিয়। আর প্রকৃতির এই অপরূপ সম্মিলন রয়েছে শুধুমাত্র কক্সবাজারে। তাই সুযোগ পেলে একটু হাফ ছাড়তে চলে আসি সমুদ্র শহরে।

পর্যটকের কোলাহলে মুখরিত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।  ছবি: বাংলানিউজ

প্রথমবারের মতো রাজশাহী থেকে কক্সবাজার এসেছেন ফারুক ইকবাল। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, জীবনে প্রথমবার কক্সবাজার এসেছি। তাও আবার স্বপরিবারে। সাগরের ঢেউ বালুর বুকে আছড়ে পড়ার দৃশ্য সত্যি মনোমুগ্ধকর। বিশাল সমুদ্রের কূলঘেঁষে থাকা বড় বড় পাহাড় দেখে মন চাইছে এই শহরে থেকে যেতে।

ঈদের দিন থেকে কক্সবাজারে অবস্থান করা যশোরের সাগরদাড়ি গ্রামের সোবাইন বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের কয়েকদিন আগে বিয়ে করেছি। স্ত্রীকে নিয়ে প্রথমবারের মত কক্সবাজার বেড়াতে এসেছি। ঈদের দিন মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে ইনানী বিচে গিয়েছি। পথে দেখেছি দরিয়ানগর, হিমছড়ির ঝর্ণা। আসার সময় সন্ধ্যায় ঢুঁ মেরেছি মারমেইড বিচ রিসোর্টে। দ্বিতীয় দিন সকালে একবার বিচে এসেছি। এরপর বার্মিজ মার্কেট ও শুটকি পল্লীতে গিয়েছি। বিকেলে আবার সৈকতে এসেছি। সত্যি বলছি কক্সবাজার রুপের রানী। যা দেখছি তাতেই মুগ্ধ হচ্ছি।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সমুদ্র শহর কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছিনতাই, ইভটিজিং, হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া রোধসহ শহরের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে র‌্যাব, পুলিশের ৪৫০ সদস্য কাজ করছেন। এছাড়া সমুদ্র সৈকতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দু’টি মোবাইল টিম রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৮
টিটি/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।