ঈদের ছুটিতে অনেকটা পাল্টে গেছে কোলাহল আর যানবাহনে ঠাসা এই ছোট্ট মহানগরীর চেহারা। বুধবার (২২ আগস্ট) ঈদ জামাতের পর সকাল থেকে সব ব্যস্ততা ছিল পশু কোরবানি নিয়েই।
তাই ঈদের দ্বিতীয় দিনে সকালেই অনেকে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছেন। আবহাওয়া যাই হোক না বিনোদন পিপাসুদের আটকানো যায়নি। দুপুর গড়িয়ে বিকেলের সূর্য পশ্চিমাকাশে নামার পর রাজশাহী মহানগরীর বিনোদন স্পটগুলোতে এখন মানুষের ঢল নেমেছে। মিলেমিশে ঈদ আনন্দ উপভোগের জন্য সবাই একযোগে বেরিয়ে পড়েছেন।
আর তাই রিকশার মহানগরে বেড়ানোর অন্যতম বাহন রিকশার কদর এখন তুঙ্গে। এই সুযোগে রিকশা ও অটোরিকশা চালকরা মানুষের কাছ থেকে দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া হাঁকাচ্ছেন। ফলে বিকেলে কয়েকটি পয়েন্টেই হাল্কা যানজট দেখা যায়। তবে তা কারও দুর্ভোগের কারণ হয়নি।
মহানগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা, শহীদ জিয়া শিশু পার্ক, শহীদ মনসুর রহমান পার্ক, আই ও টি-বাঁধ, বড়কুঠি, শিমলা পার্ক, পদ্মা গার্ডেনসহ বিভিন্ন বিনোদন স্পট বিনোদন পিপাসুদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠেছে। ভ্রাতৃত্ব আর সৌহার্দের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সবাই প্রাণভরে উপভোগ করেছেন ঈদের খুশি, ঈদের অনাবিল আনন্দ।
সন্তানদের নিয়ে রাজশাহীর শহীদ জিয়া শিশু পার্কে বেড়াতে এসেছিলেন শহীদুল হক দম্পতি। তিনি জানান, ঈদকে ঘিরে এ সময়টা ছেলে-মেয়ের আবদার থাকে বেড়ানোর। যে আবদার এড়ানো সব বাবা মায়ের জন্যই দায়। সেজন্য তাদের নিয়ে শিশুপর্কে আসা। বিভিন্ন রাইডে তারা বেশ মজা পাচ্ছে। রোদ, বৃষ্টি বা গরম তাদের ঘরে বেঁধে রাখতে পারেনি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেও কারও মুখে বাড়ি ফেরার কথা নেই বলেও জানান শহীদুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৮
এসএস/জেডএস