চামড়া বিক্রেতাদের ধারণা একটি সিন্ডিকেট চামড়ার দাম কমিয়ে দিয়েছে। এতে নীলফামারীতে পানির দামে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে।
এতে কোরবানিদাতার আর্থিক কোনো লোকসান না হলেও কপাল পুড়বে এতিম, অসহায় ও গরিব মানুষের। দাম কম হওয়ায় কোরবানিদাতারা
বিভিন্ন এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদরাসায় চামড়া দান করে দিচ্ছেন। আবার যেসব মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা একটু লাভের আশায় তা কিনেছেন তারা পড়েছেন বিপাকে।
এদিকে চামড়া পাচারের আশঙ্কায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা কঠোর নজরদারি রাখছেন সীমান্ত এলাকায়।
নীলফামারী শহরের বাবুপাড়ার রায়হানুল ইসলাম বলেন, ৬৭ হাজার টাকা মূল্যের গরুর চামড়া তিনি বিক্রি করেছেন ৬০০ টাকায়।
শহরের সওদাগড়পাড়ার হাসিবুল ইসলাম বলেন, ৭৫ হাজার টাকার গরুর চামড়া তিনি বিক্রি করেন ৭০০ ও ১৮ হাজার টাকার খাসির ছাগলের চামড়া বিক্রি করেছেন মাত্র ৩৫ টাকায়।
জানা যায়, ছোট ব্যবসায়ী ও ফড়িয়াদের কাছ থেকে চামড়া কিনে বড় বড় ব্যবসায়ীরা ঢাকার বিভিন্ন ট্যানারিতে সরবারহ করে থাকেন। কিন্তু এবার আর্থিক সংকটের কারণে বড় বড় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ছোট মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী ও পাইকাররা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
নীলফামারী সদরের রামনগর ইউনিয়নের বাহালী পাড়া গ্রামের চামড়া ব্যবসায়ী রশিদুল ইসলাম বলেন, এ ব্যবসা আমার বাবা দাদার আমলের। লোকসানের কারণে বর্তমানে ব্যাটারিচালত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি। আগে গ্রামে ৩০-৩৫ জন ব্যবসায়ী ছিল। এখন বছরের পর বছর লোকসান হওয়ায় অনেকেই এ ব্যবসা ছেড়ে অন্য ব্যবসায় ঝুঁকে পড়েছেন।
বিজিবি-৫৬ এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, চামড়া পাচার রোধে সীমান্তের যেসব এলাকায় কাঁটা তারের বেড়া নেই সেসব এলাকায় বিজিবিকে সর্তক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
এছাড়া যেসব সীমান্ত পথে চামড়া পাচারের আশঙ্কা রয়েছে সেখানে বিশেষ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আট কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিজিবির নজরদারিসহ টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানান পরিচালক কালাম আজাদ।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৮
আরআইএস/