যা দেখে নগরবাসী অভিভূত। লালবাগের বাসিন্দা শামসুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, টিভিতে দেখেছি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে শুরু করে ধানমন্ডি, কলাবাগান, সাইন্সল্যাব, শুক্রবাদ, নিউমার্কেট, আজিমপুর, লালবাগ, ঢাকেশ্বরীসহ পুরো এলাকা চকচক করছে। কোথাও বর্জ্যের স্তুপ চোখে পড়েনি, এমনকি রক্তের দাগও নেই। বর্জ্য অপসারণ করে পানি দিয়ে ধুয়ে দিচ্ছে সিটি কর্পোরেশন। লালবাগের পোস্তায় অন্য বছর ঈদের তিনদিন যাওয়া যেত না। সেখানে এখন মানুষ নির্বিঘ্নে চলাফেরা করছে। কোথাও ময়লা নেই।
লালবাগ এলাকার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমের তদারকি করছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) জোন-৩ এর সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আজগর। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কাজ শতভাগ শেষ। এখন যেখান থেকে যতটুকু বর্জ্য বের হচ্ছে আমরা সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে নিচ্ছি। আমাদের ভারী যন্ত্রপাতিসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে। লোকেরও ঘাটতি নেই। এবার কোথাও ময়লা দেখতে পারবেন না।
পুরান ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির রোডের চিত্রও একই। এখানকার প্রতিটি গলিতে ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও ময়লা নেই। অন্য দিনের চেয়ে ঈদের সময় বেশি পরিষ্কার।
ধানমন্ডির বাসিন্দা তানবীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এবার সিটি কর্পোরেশন ব্যাপক কাজ করেছে। আমার চোখে কোথাও ময়লা পড়েনি। ঢাকার সমস্ত এলাকা ঝকঝকে।
পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম প্রসঙ্গে ডিএসসিসি'র অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কাজ শতভাগ শেষ করেছি। তারপরেও কোথাও কোনো বর্জ্য থাকলে হটলাইনে জানালে আমরা পরিষ্কার করে দেব।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানা ইতি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের বিকেল ৩টার মধ্যে সমস্ত এলাকা পরিচ্ছন্ন হয়ে যাবে। আমার ধারণা শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৮
এসএম/আরআর